বাংলা হান্ট ডেস্ক : প্রজাতন্ত্র দিবসে (Republic Day of India) অনন্য নিদর্শন গড়ল ভারত। কর্তব্য পথ দেখল ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে হিন্দুত্বের অদ্ভুত মিশেল। নতুনত্ব ছিল প্রজাতন্ত্র দিবসের ট্যাবলোতেও। একদিকে যেমন ঝাড়খণ্ডের বাবাধাম অপরদিকে তেমনই জম্মু-কাশ্মীরের অমরনাথ মন্দিরও স্থান পায় সাধারণতন্ত্র দিবসের ট্যাবলোতে।
এবরের কর্তব্য পথ দেখল বাংলার বিজয় গাথাও। সদ্য ইউনেস্কোর তকমা পাওয়া দুর্গাপুজোও দেখা গেল প্রজাতন্ত্র দিবসের ট্যাবলোর তালিকায়। ঘন্টা কাঁসরের ধ্বনিতে ভারতীয় সংস্কৃতির সাক্ষ্য বহন করলো এই ট্যাবলো। এরই সঙ্গে উড্ডীন হলো হিন্দুত্বের গৌরবও। এবার বাংলার থিম ছিল ‘নারীশক্তি’। ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু নিশ্চিত গর্বিত হবেন বাংলার এই বিশেষ প্রদর্শনে। দেশের ৭৪-তম প্রজাতন্ত্র দিবসে এই প্রথম বার রাষ্ট্রপতি হিসেবে অংশ নিলেন দ্রৌপদী মুর্মু। দেশের দ্বিতীয় মহিলা রাষ্ট্রপতি তিনি। ওড়িশার সিল্কের শাড়ি পরেছিলেন রাষ্ট্রপতি। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রঙিন পাগড়ি পরে উপস্থিত হয়েছিল আজকের অনুষ্ঠানে।
দক্ষিণী রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশের প্রতিনিধিত্ব করে ‘প্রভালা তীর্থম’ ট্যাবলো। এটি সে রাজ্যের মকর সংক্রান্তির একটি উৎসব৷ অপরদিকে, উত্তরপূর্ব ভারতের রাজ্য অসমের ট্যাবলোতেও হিন্দুত্বের জয়জয়কার। হিমন্ত বিশ্ব শর্মার রাজ্যের ট্যাবলোতে ফুটে ওঠে বিখ্যাত কামাক্ষা মন্দির। উত্তরাখণ্ডের ট্যাবলোতে শোভা পায় কর্বেট ন্যাশনাল পার্ক এবং যোগেশ্বর ধাম।
দেশকে আত্মনির্ভর করে তোলার ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার প্রজাতন্ত্র দিবসে তাই স্বদেশি অস্ত্রেই শক্তি প্রদর্শন করে ভারত। ছিল না কোনও বিদেশি অস্ত্র। বিপুল নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয় আজ সকাল থেকে। ৬ হাজার নিরাপত্তারক্ষী, ২৪টি হেল্প ডেস্কের বন্দোবস্ত করা হয় অতিথি সুরক্ষার জন্য।