বাংলাহান্ট ডেস্ক: বিপদ যেন পিছু ছাড়ছে না হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের (Hiran Chatterjee)। প্রথমে পুরভোট পরবর্তী খড়গপুরে নিজের দলের অভ্যন্তরেই অশান্তির অভিযোগ করেছিলেন বিজেপি বিধায়ক। সোমবার তাঁকে বিধানসভায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ভিডিও বার্তায় ক্ষোভ উগরে দেন হিরণ। এবার হাসপাতালে ভর্তি হতে হল অসুস্থ বিধায়ককে।
সোমবার রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে গিয়েছিলেন হিরণ। সেখান থেকে ফেরার পর মঙ্গলবার সকাল থেকেই অসুস্থ বোধ করতে থাকেন তিনি। আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় তাঁকে। জানা যাচ্ছে, শরীরে জলের মাত্রা কমে গিয়েছে হিরণের।
উল্লেখ্য, সোমবার বিধানসভায় বেশ উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন বিজেপি বিধায়করা। সে সময়ে জল খেতে বাইরে বেরিয়েছিলেন হিরণ। ফিরে এসে দেখেন গেটে তালা। তৃণমূল বিধায়ককে ঢুকতে দিলেও তাঁকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ করেন হিরণ।
তালা বন্ধ গেটের বাইরে দাঁড়িয়েই ভিডিও বার্তায় অভিযোগ করেন হিরণ। তাঁকে বলতে শোনা যায়, “কী ঐতিহাসিক দুর্ঘটনা! মানুষ এরকমও হতে পারে? আমি একজন বিধায়ক, আমাকে বিধানসভার ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছে না। গেটে তালা মেরে দিয়ে চলে গিয়েছে।”
প্রসঙ্গত, খড়গপুর পুরসভা নির্বাচনে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন হিরণ। খড়গপুর পুরসভা তৃণমূল নিজেদের দখলে রাখলেও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হন পদ্মফুলের হিরণই। এরপরেই শোনা যায়, পুরসভার চেয়ারম্যান পদের জন্য খড়গপুর সদরের বিজেপি বিধায়ক হিরণকে তৃণমূল সমর্থন করতে পারে। আর এই কারণেই নাকি জেনেশুনেই নিজের দলের থেকে দূরত্ব বজায় রাখছেন হিরণ।
কানাঘুঁষো শোনা গিয়েছিল, হিরণ নাকি ফের বিজেপি বদলে তৃণমূলে ফিরবেন। কিন্তু বিধানসভায় এসে সে জল্পনা নস্যাৎ করে দেন হিরণ। তিনি স্পষ্ট জানান, তাঁর পক্ষে চেয়ারম্যান হওয়া কোনো ভাবেই সম্ভব নয়। সংবাদ মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে অনেক কিছু লেখালেখি হচ্ছে বলেও জানেন তিনি। তবে সেসব কোনোটাই সত্য নয় বলেও দাবি করেন হিরণ।