পশ্চিমবঙ্গের ছাত্রদের যদি জিজ্ঞাসা করা হয় পশ্চিমবঙ্গ তৈরির ইতিহাস বলো। তাহলে বেসিরভাগজন উত্তর দিতে পারবে না। কারণ ইতিহাস বইতে পশ্চিমবঙ্গ তৈরির ইতিহাস লেখা নেই। ভারতে ইতিহাসের পাঠ্যপুস্তক বাবর, আকবর, ইংরেজ, গান্ধী, নেহেরু এসেই শেষ হয়ে যায়। ভারতের ইতিহাস বইয়ের অবস্থা এমন যে, বেশিরভাগ ভারতীয় ভাবে মুঘলরা আসার পর ইংরাজরা চলে এসেছে। মাঝে সময়ে কিভাবে ভারতের হিন্দু রাজার মুঘল শাসন শেষ করেছিল তা বেশিরভাগ ভারতীয় জানে না। এছাড়াও ইংরেজদের তাড়িয়ে দেওয়ার ইতিহাসও পরিষ্কারভাবে লেখা নেই ভারতের পাঠ্যপুস্তকে। আসলে ভারতীয়দের ইতিহাস রামায়ণ মহাভারত থেকে শুরু হয়। কিন্তু অনেকে তো এখন রামায়ণ মহাভারতকে কাল্পনিক বলে কটাক্ষ করে।
যদিও বৈজ্ঞানিকভাবে রামায়ণ ও মহাভারতের নান প্রমান পাওয়ার পর বহু জনের মুখ চুপ হয়েছে। নাহলে ভারতের ইতিহাস বিকৃত করে ভারতীয়দের কাপুরুষ বানিয়ে ফেলার ষড়যন্ত্র যুগ যুগ থেকে চলছে। তবে এবার নতুন করে ইতিহাস লেখার সঙ্কেত দিয়েছেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেকুলার সরকার প্রভাবিত হয়ে দালাল ইতিহাসবিদরা যে ইতিহাস লিখে গেছে তা ছুঁড়ে ফেলে নতুন ইতিহাস লেখার উপর জোর দেওয়া হবে। অমিত শাহ, দিল্লিতে আয়োজিত রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের একটি কর্মসূচীতে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জাওরলাল নেহেরুর ভুলগুলি নিয়ে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেন।
একই সাথে ইতিহাস পুনর্লিখনের কথা বলেন। অমিত শাহ বলেন কাশ্মীর ইস্যুকে আন্তর্জাতিক কোর্ট অবধি নিয়ে যাওয়া নেহেরুর সবথেকে বড়ো ভুল ছিল। ভারিতীয় সেনা যুদ্ধে জয়ী হচ্ছিল, তখন যুদ্ধ বিরামের কি দরকার ছিল সেই নিয়েও আক্রমন করেন অমিত শাহ। আসলে পাকিস্তানকে হারিয়ে ভারতের সেনা ধীরে ধীরে জম্মু কাশ্মীর দখল করছিল। মাত্র POK দখল যখন বাকি তখন নেহেরু যুদ্ধ বিরাম করে সেনাকে পেছনে পিছিয়ে নিয়েছিলেন। তাই আজও POK কাশ্মীরের দখলে।
অমিত শাহ বলেন, দেশের ইতিহাস লেখার দায়িত্ব তাদের হাতেই ছিল যারা বহু ভুল করে বসে ছিল। তাই ফলস্বরূপ আসল ইতিহাসকে লুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবার ভুল ইতিহাসে সংশোধন করার সময় এসে গেছে। স্বাধীনতার পর দেশ ৫৫০ এর বেশি ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছিল। কিন্তু সব এলাকা একীকরণের দায়িত্ব প্যাটেলের হাতে ছিল। শুধু জম্মু-কাশ্মীরকে নেহেরু নিজে একীকরণ করতে গিয়ে দেশের জন্য বড়ো সমস্যা তৈরি করে গেছেন। জম্মু-কাশ্মীর একীকরণ করতে এত সময় লাগলো যে ৫ আগস্ট ২০১৯ এ এটা পূর্নভাবে ভারতে একীকরণ হলো।