বাংলা হান্ট-হুগলীর ব্যান্ডেলে তৃণমূল নেতা দিলীপ রাম খুনের বড় সাফল্য চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের। গ্রেপ্তার তিন। এই খুনের ঘটনায় আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ২জনকে। এই মামলায় মোট ৫জন গ্রেপ্তার হলো করা হলো। এই তিনজনের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ২টি পাইপগান,১টি ৭এমএম পিস্তল চারটি কার্তুজ, ৭টি ৭এমএম কার্তুজ ও একটি এম্পটি কার্তুজ।পুলিশ সূএে এই এম্পটি কার্তুজটি খুনে ব্যাবহৃত করা হয়েছিলো।
খুনের তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে খুনের মাষ্টার মাইন্ড শকুন্তলা দেবীকে পুলিশের গোয়েন্দা দপ্তরের এক এ,এস,আই খবরাখবর অদানপ্রদান করতো।সূএের খবর সেই এ,এস,আইকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। গত ২৯শে জুন সকালে হুলীর ব্যান্ডেল স্টেশনের সামনে রেললাইনের উপর দুঃষ্কৃতিদের গুলিতে খুন হন ব্যান্ডেল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান তথা তৃণমূল নেতা দিলীপ রাম। ঘটনার পরই বিজেপির বিরুদ্ধে এই খুনের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার তদন্তে নেমে আগেই সঞ্জয় মিশ্র ও অর্জুন সিং-কে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।
এবারে খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার হলো টিপার মহঃ নাসিম(গুড্ডু), বৈজনাথ রায়(হেডএক) এবং মুঙ্গল যাদব। যদিও ঘটনার মাষ্টার মাইন্ড শকুন্তলা দেবী ওরফে সমুন্দি যাদব নামে মহিলা এখনও অধরা।
ধৃতদের জিজ্ঞাসা করে পুলিশ জানতে পারে ব্যান্ডেল মোড়ে একটি জমি সংক্রান্ত বিবাদে মধ্যস্থতা করাতেই শকুন্তলা দেবীর কুনজরে আসে দিলীপ। দিলীপ রাম সেই জমি বিবাদে মধ্যস্থতা করায় সেই জমি হাতছাড়া হয় শকুন্তলার। সেজন্যই দিলীপের উপরে ক্ষোভের সূত্রপাত শকুন্তলার। সেই ক্ষোভ থেকেই সুপারি কিলার দিয়ে দিলীপকে খুন করায় শকুন্তলা বলে অভিযোগ।
তবে স্বামীকে খুনের ঘটনায় বিজেপির যে হাত রয়েছে সেবিষয়ে এখনও নিশ্চিত মৃতের স্ত্রী নীতু সিং। যদিও ঘটনায় বিজেপির যোগসাজেশ যে নেই তা এখনই উড়িয়ে দিচ্ছেন না চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার হুমায়ুন কবীর।