বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বিয়ের (Marriage) জন্য অপহরণ (Kidnapping) করা হয় পাত্রকে (Groom)। ভালো পাত্র পেলে সেই পাত্রকে বা তাঁর বাবা মাকে গুণ্ডা ভাড়া করে, হাত পা বেঁধে বন্দুক দিয়ে ভয় দেখিয়ে তুলে আনা হয়। পাত্রপক্ষের দাবি করা মোটা পণের (Dowry) বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা করা হয় বিহারে।
বিহারের (Bihar) এই অদ্ভুত বিয়ের নাম পাকাদুয়া বিয়ে। পণ নেওয়া বা পণ দেওয়া দুইই দণ্ডনীয় অপরাধ। ছেলে মেয়ের বিয়ের ক্ষেত্রে আইন এখন পণপ্রথার বিরোধী। অন্যান্য রাজ্যে এই আইন মানা হলেও, বিহারে এখনও বিয়ের বিষয়ে পণ দেওয়া নেওয়ার রীতি পালিত হয়। অনেকেই আছে যারা এই পণপ্রথার বিরোধী। কিন্তু পাত্রপক্ষ পণ চাইলে, মেয়ের মঙ্গল কামনায় তা দিতে বাধ্য হয়।
বিয়ের ক্ষেত্রে তাই বিহারে পণের মোটা অঙ্ক শুনলে ভিড়মি খায় অনেকেই। মেয়ের বিয়ের জন্য কোন ভালো পাত্র পছন্দ হলে বিহারের কিছু কিছু অঞ্চলে পাকাদুয়া বিয়ের রীতি পালন করা হয়। কি এই পাকাদুয়া বিয়ে? বিয়ের জন্য যদি কোন ভালো পাত্র পাওয়া যায়, তাহলে সেই পাত্রকে এবং তাঁর পরিবারের লোকজন অর্থাৎ পাত্রের বাবা মাকে মেয়ের বাড়ির লোকজন রীতিমতো গুণ্ডা ভাড়া করে মুখে বন্দুক ঠেকিয়া হাত পা বেঁধে তুলে নিয়ে আসে। তারপর জোর করে সেই পাত্রের সঙ্গে তাঁদের মেয়ের বিয়ে দিয়ে দেয়।
বিহারে বেশ কয়েক বছর ধরেই এভাবে মেয়েদের বিয়ে দেওয়া হয়। গত বছর প্রায় ৩ হাজার ৪০৫ জন যুবককে এভাবে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করানো হয়েছে। তবে এই পাত্র অপহরণের সংখ্যাটা গত কয়েক বছরে ৩ হাজারের আশপাশেই রয়েছে। পুলিশের রেকর্ড অনুযায়ী, বিয়ের মরসুমে বিহারে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৯টি করে পাকাদুয়া বিয়ে দেওয়া হয়। সেইকারণে এই বিষয়ে প্রশাসনিক তরফ থেকে সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।