বাংলাহান্ট ডেস্ক : সেপ্টেম্বরের শেষেই এবার পুজো। হিসেব মতো এক মাসের আর কিছুদিন বাকি। এই সময় থেকেই পুজোয় ঘুরতে যাওয়ার জন্য ট্রেনে, হোটেলে বুকিংয়ের হিড়িক পড়ে। উত্তরে (Darjeeling) যাওয়ার ক্ষেত্রে ট্রেন, বিমানে টিকিটের আকাল দেখা দিয়েছে ইতিমধ্যেই। কিন্তু পাহাড় সমতলের হোটেলগুলিতে অন্য রকম ছবি। অন্য বারের মতো নাকি তেমন হুড়োহুড়ি নেই পর্যটকদের। হোটেলে ঘর বুকিংয়ের জন্য খোঁজ করে ফোনও আসছে না তেমন। ফলে চিন্তায় পড়েছেন মালিকরা।
পুজোয় পাহাড়ে (Darjeeling) হোটেল খালি পড়ে রয়েছে
দার্জিলিং (Darjeeling) হোটেলে অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে খবর, দার্জিলিংয়ে মোট সাড়ে তিনশো হোটেল রয়েছে। কালিম্পংয়ে দুশো হোটেল রয়েছে। অন্য বছরে এই সময় পাহাড়ে হোটেলের রুমের জন্য হাহাকার পড়ে। আর এবছর নাকি প্রতিটি হোটেলে ষাট শতাংশ রুমেরও বুকিং হয়নি। একই পরিস্থিতি হোমস্টেগুলিতেও। দার্জিলিং (Darjeeling) এবং কালিম্পং মিলিয়ে রয়েছে সাড়ে তিন হাজার রেজিস্টার্ড হোমস্টে। কিন্তু সেগুলিতেও এ বছর পর্যটকদের অভাব।
হিড়িক নেই পর্যটকদের: অ্যাসোসিয়েশনের তরফে খবর, প্রত্যেক বছরই পুজোয় পাহাড়ে হোটেলের আকাশছোঁয়া চাহিদা থাকে। অন্তত দুমাস আগে থেকেই সমস্ত ঘর বুক হয়ে যায়। কিন্তু এ বছরে নাকি দিনে দশটা ফোনও আসছে কিনা সন্দেহ। এর নেপথ্যে কারণ কী? অনেকেই মনে করছেন, এবছর পুজো এগিয়ে আসার কারণে পাহাড় (Darjeeling) বিমুখ হয়ে পড়েছেন পর্যটকরা।
আরও পড়ুন : বেঁধে দেওয়া হল সীমা, অতিরিক্ত ওজনের লাগেজের জন্য জরিমানা! দুই স্টেশনে নিয়ম চালু রেলের
কেন এমন পরিস্থিতি: আসলে মোটামুটি অক্টোবর পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের পাহাড়, সমতলে বৃষ্টি চলে। এ বছর তার আগেই পড়েছে পুজো। প্রবল বৃষ্টিতে পাহাড়ে (Darjeeling) হড়পা বান এবং ভূমিধ্বসে কী অবস্থা হয় তা সকলেই জানেন। সেই কারণেই হয়তো পর্যটকরা আসতে ভয় পাচ্ছেন বলে মনে করছেন হোটেল মালিকরা। কালিম্পংয়ের এক হোমস্টে মালিকের কথায়, ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের পরিস্থিতি সকলেরই জানা। নতুন করে শ্বেতিঝোরার কাছে জাতীয় সড়কে, রবিঝোরা, বিরিকদারা, ২৭ মাইল, ২৯ মাইল এলাকাতে ধ্বস নেমেছে। এমতাবস্থায় কেই বা বেড়াতে আসার ঝুঁকি নেবে!
আরও পড়ুন : ভারত সংঘর্ষবিরতির জন্য ট্রাম্পের কাছে ভিক্ষা করেছিল…ভুয়ো বীরত্ব প্রকাশ করতে ফের গল্প ফাঁদলেন মুনির
প্রচুর পর্যটন কর্মীরা কাজ করেন উত্তরবঙ্গে। তাঁরা জানাচ্ছেন, চুংথাং, সেভেন সিস্টারস ফলস, ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার, লাচেন, গুরুদোংমার ঘুরে দেখতে চলে বুকিং। কোনও ঘরই ফাঁকা থাকে না। কিন্তু এবছর সেই চেনা ছবি উধাও। মাছি তাড়াচ্ছেন রিসর্ট মালিকরাও। উত্তরবঙ্গগামী ট্রেনে টিকিট মিলছে না। এদিকে পাহাড়-সমতলের হোটেল, রিসর্ট ফাঁকা। এই পরিস্থিতি ঠিক কেন সেটাই বুঝতে পারছেন না মালিকরা।