বাংলাহান্ট ডেস্ক : সদ্য স্বামীহারা হয়েছেন মুনমুন সেন (Moonmoon Sen)। দীর্ঘ ৪৬ বছরের দাম্পত্য জীবনের অবসান ঘটিয়ে মঙ্গলবার প্রয়াত হন ভরত দেব বর্মা। স্বামীকে হারিয়ে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছেন মুনমুন। একসঙ্গে দীর্ঘ চার দশকেরও বেশি সময় কাটিয়েছেন সুখে দুঃখে। এই দীর্ঘ সময়ের সঙ্গী পাড়ি দিলেন না ফেরার দেশে। রেখে গেলেন অজস্র স্মৃতি। কিন্তু প্রথম পরিচয় কীভাবে হয়েছিল ভরত এবং মুনমুনের (Moonmoon Sen)? কীভাবেই বা বিয়েতে গড়িয়েছিল আলাপ?
কীভাবে আলাপ হয় মুনমুন (Moonmoon Sen) এবং ভরতের?
ত্রিপুরার রাজপরিবারের সন্তান ছিলেন ভরত দেব বর্মা। তাঁর দিদিমা ইলা দেবী ছিলেন কোচবিহারের রাজকুমারী। ইলা দেবীর বোন গায়ত্রী দেবী আবার ছিলেন জয়পুরের মহারানী। আর তাঁর ঠাকুমা ইন্দিরা দেবী ছিলেন ভদোদরার রাজকুমারী। রাজপরিবারে বিয়ে হয়েছিল মুনমুনের (Moonmoon Sen)। কিন্তু তাঁদের প্রথম সাক্ষাৎটা কোনো রোম্যান্টিক সিনেমার থেকে কম কিছু না।
প্রথম দেখাতেই হয় প্রেম: জানা যায়, ভরত দেব বর্মা কলকাতায় এসেছিলেন একটি বিয়েবাড়িতে তৎকালীন মিস ক্যালকাটা নাসরিন আলির সঙ্গে ডেট করতে। নাসরিনের বান্ধবী ছিলেন মুনমুন (Moonmoon Sen)। ভরতের উপরে দায়িত্ব পড়েছিল তাঁকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার। প্রথম দেখাতেই নাকি পরস্পরকে মন দিয়ে বসেছিলেন তাঁরা। সেটা ১৯৭৮ সাল। মুনমুন তখন অভিনয় কেরিয়ারের শীর্ষে। মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের কন্যা নিজের গ্ল্যামার আর বোল্ডনেসে ঘায়েল করছেন পুরুষ হৃদয়। অন্যদিকে রাজকুমার ভরত দেব বর্মাও অত্যন্ত সুপুরুষ। পরবর্তীকালে মুনমুন (Moonmoon Sen) বলেছিলেন, ভরতকে দেখেই নাকি তাঁর মনে হয়েছিল একদম ‘ম্যারেজ মেটিরিয়াল’।
আরো পড়ুন : সহ্য করতে পারেন না স্টারকিডদের, অথচ আরিয়ানের ক্ষেত্রে উলটো সুর কঙ্গনার! নেটিজেনরা বলছেন, ‘ভূতের মুখে…’
সংসার কেরিয়ার একসঙ্গে সামলেছেন মুনমুন: ওই বছরই ২৪ শে ফেব্রুয়ারি বিয়ের আসর বসে মুনমুন (Moonmoon Sen) এবং ভরতের। সুচিত্রা সেনের জামাই হন ত্রিপুরার রাজপুত্র। বিয়ের এক বছরের মধ্যেই প্রথম সন্তান রাইমার জন্ম দেন মুনমুন। তার বছর দুয়েক পর রিয়া। কেরিয়ারের শীর্ষে থাকার সময় বিয়ে এবং মাতৃত্ব দুই বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুনমুন (Moonmoon Sen)। মা হওয়ার পর একদিকে যেমন সংসার সামলেছেন, তেমনি আবার অভিনয়ও চালিয়ে গিয়েছেন পুরোদমে।
আরো পড়ুন : রুখতে হবে সন্ত্রাসবাদ, নয়তো… রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি ভারতীয় দূতের
বরাবর ভরত দেব বর্মাকে পাশে পেয়েছেন মুনমুন। দুই কন্যার প্রতিও বাবার দায়িত্ব সফল ভাবে পালন করেছেন তিনি। কিছুদিন আগেই ২৮ শে সেপ্টেম্বর গিয়েছে ভরত দেব বর্মার জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তাঁকে ‘সেরা বাবা’র তকমা দিয়েছিলেন রাইমা। বিভিন্ন সময়ে তাঁর শেয়ার করা ছবিতে মুনমুন এবং ভরতের পুরনো স্মৃতিও উঠে এসেছে চর্চায়।