বাংলাহান্ট ডেস্ক: অভিনেত্রী সানা খান (Sana Khan) যখন বলিউড ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন তখন অবাক হয়েছিলেন সকলেই। সাফল্যের চূড়ার দিকে এগোতে থাকা সানা হঠাৎ সমস্ত ছেড়েছুড়ে গ্ল্যামার জগৎ থেকে সন্ন্যাস নেওয়ার কথা ঘোষণা করতে অনেকে অবিশ্বাসও করেছিলেন। কিন্তু নিজের সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন তিনি। রাতারাতি ধর্মের পথ আপন করে নিয়ে সাজপোশাক বদলে নিজেকেই পুরো পরিবর্তন করে নেন সানা। তার পরেই বিয়ে করেন মুফতি আনাস সইদকে।
বছর তিনেক হল বিয়ে করেছেন সানা। অভিনয়কে সম্পূর্ণ ভাবে বিদায় জানলেও ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে এখনো যোগাযোগ রয়েছে তাঁর। স্বামীর সঙ্গে দেশ বিদেশ ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি, কাটাচ্ছেন বিলাসবহুল জীবন। আবার তেমনি দুজনে মিলে করছেন ধর্ম চর্চাও। কিন্তু কীভাবে একে অপরকে খুঁজে পেলেন সানা আনাস?
জানলে অবাক হবেন, প্রথমে সানার সঙ্গে দাদা বোনের সম্পর্ক ছিল সইদ আনাসের। একথা নিজের মুখেই স্বীকার করেছেন সানার স্বামী। সংবাদ মাধ্যমের কাছে তিনি জানিয়েছেন, আগে সানাকে ‘বাজি’ অর্থাৎ বোন বলে সম্বোধন করতেন তিনি। প্রথম বার তাঁর সঙ্গে আলাপ হওয়ার পর তিনি জানতে পেরেছিলেন যে প্রাক্তন অভিনেত্রী নিষ্ঠা ভরে নমাজ পড়েন।
ইন্ডাস্ট্রির অনেকেও নাকি আনাসকে জানিয়েছিলেন যে সানা দিনে পাঁচ ওয়াক্ত নমাজ পড়েন। এই ইন্ডাস্ট্রি তাঁর জায়গা নয়। ধর্মের প্রতি সানার নিষ্ঠা, নিজের পরিবারের প্রতি ভালবাসা আনাসকে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে বাধ্য করেছিল। বোনের বদলে অন্য নজরে সানাকে দেখতে শুরু করেছিলেন তিনি। আনাসের মতে, আল্লাহর ইচ্ছাতেই সানাকে স্ত্রী হিসেবে পেয়েছেন তিনি।
কিছুদিন আগেই মুম্বইয়ে বাবা সিদ্দিকীর খ্যাতনামা ইফতার পার্টিতে অংশ নিতে দেখা গিয়েছিল সানা এবং আনাসকে। সেই পার্টিরই একটি ভিডিও ভাইরাল হয় নেট পাড়ায়। ভিডিওতে দেখা যায়, পাপারাৎজির সামনে দিয়ে অন্তঃসত্ত্বা সানা কে টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছেন তাঁর স্বামী।
সানার মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছিল তিনি অস্বস্তিতে রয়েছেন। তবে বিতর্ক শুরু হতেই সানা সাফাই দেন, ভিডিওটি দেখে তাঁর নিজেরও অদ্ভূত লেগেছে। কিন্তু আসল ঘটনাটা ঘটেছিল অন্য। সানা বলেন, তাঁদের গাড়ির ড্রাইভারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না তাঁরা। এদিকে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন সানা।
তাই মুফতি আনাস তাঁকে নিয়ে যাচ্ছিলেন যাতে তিনি একটু বসে জল খেয়ে থিতু হতে পারেন। আর সানাই নাকি তাঁকে বলেছিলেন তাড়াতাড়ি যেতে। তাই আনাস তাঁকে হাত ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন। নেটিজেনরা যেন অন্য কিছু না ভাবেন।