দুর্ঘটনার পর থেকেই বন্ধ কথা, ১ মাস পর কেমন আছেন ‘অভিশপ্ত’ বিমানের একমাত্র জীবিত যাত্রী? জানলে কষ্ট হবে

Published on:

Published on:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : সদ্য প্রকাশ্যে এসেছে আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনার (Ahmedabad Plane Crash) তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, টেকঅফের পরে দুটি ইঞ্জিনই বিকল হয়ে যাওয়ায়, জ্বালানির সুইচ ‘রান’ থেকে ‘কাটঅফ’এ চলে আসায় ঘটে যায় এত বড় দুর্ঘটনা (Ahmedabad Plane Crash)। একজন বাদে মৃত্যু হয় বিমানে থাকা পাইলট, কেবিন ক্রু সহ সমস্ত যাত্রীরই। সেই একজন জীবিত যাত্রী বিশ্বাসকুমার রমেশ এখন কেমন আছেন?

আহমেদাবাদ দুর্ঘটনার (Ahmedabad Plane Crash) একমাত্র জীবিত যাত্রী বিশ্বাসকুমার রমেশ

আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার ওই বিমানে যাত্রীদের মধ্যে একজন ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক বিশ্বাসকুমার রমেশ। এর আগেই জানা গিয়েছিল, ১১এ সিটে বসেছিলেন তিনি। সে সময় বেশ হইচই হয়েছিল বিষয়টি নিয়ে। ওই দুর্ঘটনার (Ahmedabad Plane Crash) পর কেটে গিয়েছে এক মাস। কিন্তু এখনও মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত বিশ্বাসকুমার। মনোবিদের পরামর্শ নিচ্ছেন তিনি।

How is Ahmedabad Plane Crash only surviver now

কেমন আছেন তিনি: দুর্ঘটনার পর সুস্থ হওয়ার পর থেকে এদেশেই রয়েছেন বিশ্বাসকুমার। তাঁর এক আত্মীয় জানান, ওই দুর্ঘটনার (Ahmedabad Plane Crash) পর থেকে বিদেশ থেকে অনেক আত্মীয়স্বজনই ফোন করছেন। কিন্তু কারওর সঙ্গেই কোনও কথা কথা বলছেন না তিনি। এখনও ট্রমায় রয়েছেন তিনি। ওই দুর্ঘটনাতেই (Ahmedabad Plane Crash) নিজের ভাইকে হারিয়েছেন বিশ্বাসকুমার। চোখের সামনে এতজনের এমন বীভৎস মৃত্যুর স্মৃতি এখনও তাড়া করে বেড়াচ্ছে তাঁকে।

আরও পড়ুন: কী উপস্থিত বুদ্ধি! স্কুল ব্যাগে থাকা এই জিনিস দিয়েই রিকশাওয়ালার ‘কুমতলব’ থেকে বাঁচল কিশোরী

শুরু হয়েছে চিকিৎসা: ওই আত্মীয় জানান, তিনি এতটাই মানসিক ধাক্কা পেয়েছেন যে রাতে ঘুমাতে পারছেন না। কেঁপে কেঁপে উঠছেন মাঝেমাঝেই। ইতিমধ্যেই এক মনোবিদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা শুরু হয়েছে তাঁর। আপাতত তাই লন্ডনে ফেরার কোনও পরিকল্পনা নেই তাঁর। হাসপাতাল (Ahmedabad Plane Crash) থেকে ছাড়া পাওয়ার পর সেদিনই ডিএনএ মিলিয়ে বিশ্বাসকুমারের ভাই অজয়ের দেহ তুলে দেওয়া হয় তাঁর পরিবারের হাতে। ১৮ ই জুন নিজেই ভাইয়ের দেহ কাঁধে নিয়ে গিয়ে অন্তেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করেন তিনি।

আরও পড়ুন : ডায়েরির পাতায় শুধু লেখা এই দুই শব্দ! আগে থেকেই নিজের মৃত্যু টের পেয়েছিলেন উত্তম কুমার?

হাসপাতালে বিশ্বাসকুমারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তখন তিনি জানিয়েছিলেন, বিমান টেকঅফের পরেই তাঁর হঠাৎ মনে হয় যে কিছু একটা গণ্ডগোল হচ্ছে। দুর্ঘটনার পর বিমান ভেঙে পড়লে তাঁর সিটের জায়গাটিই ভেঙে পড়ে মেডিকেল কলেজ হস্টেলের নীচতলায়। দরজা খোলা দেখে অনেক কষ্টে ওই অভিশপ্ত বিমান থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি।