টানেল দুর্ঘটনায় শ্রমিকদের উদ্ধার করতে কত সময় লাগবে? আধিকারিকরা যা বললেন জানলে শিউরে উঠবেন

বাংলা হান্ট ডেস্ক: উত্তরকাশীর (Uttarkashi) টানেল দুর্ঘটনার (Tunnel Collapse) ইতিমধ্যেই ৯ দিন অতিক্রান্ত হয়েছে। পাশাপাশি, এখনও পর্যন্ত উদ্ধারকারী দল ৪১ জন শ্রমিককে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে, উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত থাকলেও বিষয়টি মোটেও সহজ হচ্ছে না। এদিকে দুর্ঘটনার বিষয়ে, উত্তরাখণ্ড কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি দলীয় কর্মীদের নিয়ে দেরাদুনের পঞ্চায়েতি মন্দিরে পুজো দেন এবং শ্রমিকদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রার্থনা করেন।

তিনি বলেন, উদ্ধারকাজে জড়িত আধিকারিকদের সঙ্গে কথা হয়েছে এবং তাঁরা জানিয়েছেন যে, শ্রমিকদের উদ্ধারে আরও ১০ দিন সময় লাগতে পারে। এদিকে, সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তিনি জানান রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতা এখানে দৃশ্যমান। অবশ্যই চেষ্টা করা হলেও তা এখনও অপর্যাপ্ত রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

How long will it take to rescue the workers in the tunnel accident

শ্রমিকদের জীবন বাঁচাবে রোবট: জানা গিয়েছে, এখন উত্তরকাশী টানেলে আটকে পড়া ৪১ জনকে বাঁচাতে একটি রোবট পাঠানো হবে। ওই রোবোটটি সুড়ঙ্গের ভেতরে গিয়ে উদ্ধার কাজে সহায়তা করবে। সুড়ঙ্গের ভেতরে ধ্বংসাবশেষের ওপরে থাকা ছোট জায়গা থেকে রোবটটিকে অন্য দিকে পাঠানো হবে। ইতিমধ্যেই এই কারণে রোবোটিক্সের টিমও ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। তাঁরা জায়গাটিকে পরিদর্শন করছেন। এছাড়াও, রোবটের সাহায্যে অন্য পাশে পাইপ বিছানোর পাশাপাশি উদ্ধারের অন্যান্য সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখা হবে।

আরও পড়ুন: পাত্তা পাবেন না বিরাট-রোহিতেরা! ভারতের এই মহিলা ক্রিকেটারই বসবাস করেন সবথেকে দামি বাড়িতে

এই বিষয়ে সম্পূর্ণ তথ্য দিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার সচিব ড. রণজিৎ কুমার সিনহা। উল্লেখ্য যে, গত ১২ নভেম্বর যমুনোত্রী হাইওয়েতে নির্মীয়মান সিল্কিয়ারা টানেলে ভূমিধসের ফলে ৪১ জন শ্রমিক আটক পড়েন। শ্রমিকদের বাঁচাতে পাঁচটি পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে এবং কেন্দ্র ও রাজ্যের প্রায় ৬ টি সংস্থা এই উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে।

আরও পড়ুন: এবার UFO-র হানা ভারতের এই বিমানবন্দরে? মুহূর্তের মধ্যে স্তব্ধ পরিষেবা, আতঙ্কের সম্মুখীন যাত্রীরা

রণজিৎ সিনহা জানিয়েছেন, সুড়ঙ্গের ভেতরে ভূমিধসের কারণে যে ধ্বংসাবশেষ রয়েছে এবং টানেলের ওপরের ছাদের মধ্যে কিছুটা জায়গা রয়েছে, সেটির মাধ্যমে একটি ছোট রোবট পাঠানো হবে ওপারে কতটা জায়গা আছে তা দেখতে। এতে এমন একটি ডিভাইস বসানো হবে যা সেখানকার পরিস্থিতি বলতে পারবে। তিনি বলেন, যেহেতু ওই জায়গাটা খুবই সরু তাই সেখানে কেবলমাত্র একটা ছোট রোবটই যেতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, টানেলে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারের জন্য যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কাজ চলছে। এমতাবস্থায়, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এবং মেশিন দিয়ে ড্রিলিং করার সময় কোনো বাধা না এলে, এই উদ্ধার অভিযান শেষ করতে ৩০ থেকে ৪০ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।

How long will it take to rescue the workers in the tunnel accident

শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যদের যাতায়াত খরচ সরকার বহন করবে: উল্লেখ্য যে, উত্তরাখণ্ড সরকার ৪১ জন শ্রমিকের পরিবারের সদস্যদের যাতায়াত, বাসস্থান ও খাবারের খরচ বহন করবে বলে জানা গিয়েছে। সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি সোমবার জানিয়েছেন যে, আটকে পড়া শ্রমিকদের আত্মীয়দের সাথে আধিকারিকদের যোগাযোগ রাখতে বলা হয়েছে। যাতে তাঁরা কোনো অসুবিধার সম্মুখীন না হন। পাশাপাশি, তিনি আরও বলেন, শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যরা যাঁরা সেখানে উপস্থিত হয়েছেন তাঁদের খরচ রাজ্য সরকার বহন করবে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর