বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) গতবছর থেকে জেলবন্দি বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। অন্যদিকে, সম্প্রতি তদন্তে অসহযোগিতার কারণে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত কন্যা সুকন্যাও (Sukanya Mondal)। বর্তমানে দুজনারই ঠিকানা দিল্লির তিহাড় (Tihar)। ঠাঁইও হয়েছে বাবার পাশের সেলেই। বাবা রয়েছেন ৭ নম্বর সেলে আর মেয়ে রয়েছেন তিহাড়ের ৬ নম্বর সেলে। অনুব্রত কন্যা ছাড়াও এই জেলে বন্দি আরও কয়েক হাজার যুবতী ও মহিলা। জানেন কেমন ভাবে জীবন কাটে সেখানের বন্দিদের!
বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে বা অপরাধের কারণে জেলবন্দি থাকলেও বসে দিন কাটেনা তিহাড়ের বন্দিদের। সেলাইয়ের কাজ, এমব্রয়ডারি কাজ, বেকারি ইউনিটে কাজ, ইমিটেশন গয়না বানানো, পার্লারের কাজ করেন সেখানের বহু যুবতী ও মহিলারা। এই বিষয়ে এক জেল আধিকারিক জানান, “জেলের ভিতরেই দুটি বিউটি পার্লার রয়েছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মহিলা কয়েদিরাই এই পার্লার চালান। চুল কাটা সহ অন্যান্য পরিষেবার জন্য একটি নির্দিষ্ট মূল্য ধার্য করা হয়।”
সেই উপার্জনের কিছুটা অংশ নিজেদের ছোটখাটো খরচের জন্য রেখে বাকিটা পরিবারের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে জানান তিনি। পাশাপাশি অনেক বন্দি আবার পড়াশোনাও চালিয়ে যান। সূত্র অনুযায়ী, বন্দি দশায় কেউ পড়াশোনা করতে চাইলে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ওপেন স্কুলিং ও ইন্দিরা গান্ধী ন্যাশনাল ওপেন ইউনিভার্সিটি থেকে তাদের পড়ালেখা শেখানো হয়।
শুধু তাই নয়, জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর বেশ কিছু এনজিও-র মাধ্যমে এই সকল মহিলা বন্দিদের নিয়োগের জন্যও পদক্ষেপ নেন জেল কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য, টাইমস অব ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদনে প্রকাশিত ২০২২ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সেই সময় তিহাড়ে মোট মহিলা বন্দির সংখ্যা ছিল ৫০৮ জন। বর্তমানে সংখ্যাটা পরিবর্তন হতে পারে।
সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সালে তিহাড় জেলের বন্দিরা প্রায় ৭৬ লক্ষ ৮৯ হাজার ৯৪১ টাকা আয় করেছে। জেলের ভেতরে তাদের বিভিন্ন রকম কাজ করতে হয়। তার পারিশ্রমিক হিসেবেই এই টাকা। পারিশ্রমিক দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও বৈষম্য নেই বলেও জানিয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ।