বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাংলা চলচ্চিত্রের স্বর্ণযুগের ‘মসিহা’ স্বরূপ ছিলেন উত্তম কুমার (Uttam Kumar)। তাঁর নামটাই যথেষ্ট ছিল প্রেক্ষাগৃহে দর্শক টানার জন্য। উত্তম কুমার সুচিত্রা সেন, উত্তম কুমার সুপ্রিয়া দেবী বা উত্তম কুমার সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়, এমন আইকনিক সব জুটি আর তৈরি হবে না কখনো। বাংলা সিনেমার প্রাণপুরুষ ছিলেন তিনি।
শুধু যে তাঁর অভিনয় নিয়েই কথা হত এমনটা নয়। তাঁর ব্যক্তিগত জীবনও ছিল চর্চার বিষয়। এমনকি মহানায়কের প্রয়াণের এত বছর পরেও তাঁর ব্যক্তি জীবন নিয়ে আমজনতার কৌতূহল বড় কম নেই। সেটে তাঁর চালচলন, ব্যবহার সম্পর্কে জানার আগ্রহ কার না হয়? উত্তম কুমারই যে ছিলেন সে সময়কার ‘ইন্ডাস্ট্রি’।
তাঁর জনপ্রিয়তা, প্রতিপত্তি কতটা ছিল তা একটা তথ্যতেই বুঝতে পারবেন। সে সময়ে ইন্ডাস্ট্রিতে রাজত্ব করতেন উত্তম কুমার। প্রায় সব পরিচালক প্রযোজকরাই নিজেদের ছবিতে মহানায়ককে পেতে চাইতেন। কিন্তু তাঁকে পাওয়ার জন্য বিনিময়ে কী দিতে হত প্রযোজকদের? এক একটা ছবির জন্য কত পারিশ্রমিক নিতেন মহানায়ক?
জানা যায়, এক একটি ছবির জন্য আনুমানিক আড়াই থেকে তিন লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক নিতেন উত্তম কুমার। টাকার অঙ্কটা শুনেই বুঝতে পারছেন সেই সময়ের নিরিখে এটা কতটা বেশি ছিল। সে সময়ে উত্তম কুমারের পারিশ্রমিকই অন্য নায়ক নায়িকাদের তুলনায় বেশি ছিল বলে জানা যায়। তবে শোনা যায়, শেষের দিকে পারিশ্রমিকের পরিমাণটা বদলে যায় মহানায়কের।
অরুণ কুমার চট্টোপাধ্যায়, অভিনয়ে পা রেখে উত্তম কুমার নাম নিয়েছিলেন তিনি। উপহার দিয়েছেন এমন সব ছবি যা ক্লাসিক হয়ে রয়েছে আজো। আরো অনেক কাজ করার ছিল। কিন্তু একটা দুর্ঘটনায় শেষ হয়ে যায় সবকিছু। ১৯৮০ সালে প্রয়াত হন উত্তম কুমার। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর এত বছর পরেও তাঁর উপস্থিতি জ্বলজ্বলে প্রত্যেক বাঙালির হৃদয়ে।