বাংলাহান্ট ডেস্ক: ভারতবাসী বিনোদন প্রেমী। আর তাদের মনোরঞ্জনের জন্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বিভিন্ন ভাষার একাধিক সিনে ইন্ডাস্ট্রি (Cinema)। ভাষাগত ভেদাভেদ ভেঙেও এখন এক ইন্ডাস্ট্রির ছবি মন জয় করছে ভিন্ন ভাষাভাষীর দর্শকদের। একদিক দিয়ে কিছু ছবি যেমন সুপারহিট, ব্লকবাস্টার হিট হচ্ছে, অন্যদিকে তেমনি কিছু ছবি মুখ থুবড়ে পড়ছে বক্স অফিসে।
বিগত কয়েক বছরে ছবির বাজেট আলোচনা এবং হিট ফ্লপের হিসাব বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বলিউড লাগাতার ফ্লপের মুখ দেখে চলেছে, অন্যদিকে দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির সব ছবিই হিট হচ্ছে। একথা তো যারা তেমন সিনেপ্রেমী নন তারাও জানেন। কিন্তু এই হিট ফ্লপের হিসাব রাখা হয় কীভাবে সেটা জানেন?
তেলুগু ছবি ‘কার্তিকেয় ২’ বক্স অফিসে ৮০ কোটি টাকা কামিয়ে ব্লকবাস্টার হিট ঘোষনা করা হয়েছে। অন্যদিকে বলিউডের ‘গাঙ্গুবাঈ কাঠিয়াবাদি’ ১০০ কোটির বেশি ব্যবসা করেও সুপারহিট পর্যন্ত হতে পারেনি। আবার ‘আর আর আর’ ১০০০ কোটি টাকার বেশি ব্যবসা করে ব্লকবাস্টার হয়েছে। সেখানে ‘ভুলভুলাইয়া ২’ মাত্র ১৮৫ কোটি টাকা তুলেই ব্লকবাস্টার হয়ে গিয়েছে। এমন অদ্ভূত হিসাব কেন?
আসলে সবটাই লাভ ক্ষতির অঙ্ক। কোনো ছবি হিট বা ফ্লপ হওয়ার ক্ষেত্রে বাজেট বড় ভূমিকা পালন করে। অনেক সময়ে এমনটাও শোনা যায়, ডিস্ট্রিবিউটাররা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। যেমন লাল সিং চাড্ডা এবং লাইগারের ক্ষেত্রে হয়েছিল। এর কারণ হল প্রযোজক ডিস্ট্রিবিউটারদের মোটা টাকায় ছবিটি বিক্রি করে দেন, অথচ বক্স অফিসে ছবিটি ডুবে যায়। সেক্ষেত্রে প্রযোজক ক্ষতির হাত থেকে বেঁচে গেলেও ডিস্ট্রিবিউটাররা ডুবে যায়।
ছবির বাজেট মূলত ঠিক হয় ডিস্ট্রিবিউটারদের বিক্রি অঙ্ক এবং প্রচারের জন্য ধার্য অঙ্ক মিলিয়ে।
এবার এই বাজেটের উপরেই নির্ভর করে ছবির হিট ফ্লপের হিসাব। উদাহরণ স্বরূপ ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ প্রায় ৪০০ কোটি টাকার বাজেটে তৈরি হয়েছে। বক্স অফিসেও যদি ৪০০ কোটির আশেপাশেই তুলতে পারে তবে ব্রহ্মাস্ত্রকে ‘অ্যাভারেজ’ বলা হবে। বাজেটের ১০০-১২০ শতাংশ টাকার ব্যবসা করলে তাকে ‘সেমি হিট’ বলা হবে।
ছবির বাজেটের ১৩০-১৫০ শতাংশ পর্যন্ত ব্যবসা করতে পারলে তা হয় সুপারহিট। অর্থাৎ ব্রহ্মাস্ত্র যদি ৫৭৫-৬০০ কোটি টাকা তুলতে পারে তবে তা হবে ‘সুপারহিট’। কোনো ছবি ‘ব্লকবাস্টার’ হয় যদি তা বাজেটের ১৫০-১৭০ শতাংশ ব্যবসা করতে পারে। আর যদি ২০০ শতাংশর বেশি ব্যবসা করে তা হয় ‘অল টাইম ব্লকবাস্টার’। এবার আসা যাক ‘ফ্লপ’এ। কোনো ছবি যদি নিজের বাজেটের সমান টাকাও না তুলতে পারে তা হবে ফ্লপ। আর যদি ১৫-২০ শতাংশও তুলতে পারে সেটাকে বলা হয় ‘ডিজাস্টার’। উদাহরণ কঙ্গনা রানাওয়াতের ‘ধাকড়’।