কিন্তু চোখ(eye) মানব দেহের সবথেকে স্পর্শকাতর । তাই আমাদের উচিত চোখের যত্ন নেওয়া। আর চোখের মধ্যে ধুলো বালি যাতে না পারে, চোখ সুস্থ তাকে তা খেয়াল রাখা দরকার। কিন্তু কাজের ব্যস্ততার মধ্যে আমরা আজকাল শরীরের যত্ন নিতে ভুলে যাই ।
তার থেকেও বেশী রোজকার কাজের চাপ মানসিক এবং শারীরিক চাপ আমাদের চোখকে প্রভাবিত করে। চোখের মধ্যে যে আলো পড়ে তা আমদের চোখের স্নায়ুর মারাত্মক ক্ষতি করে। আর চোখের মধ্যে এই আলো পড়ে আমদের দেখতে পাওয়ার ক্ষমতা কমতে শুরু করে। যে সমস্যা মূলত দেখা যায় সেগুলো এড়ানোর জন্য যা করতে হবে একটানা কাজ করবেন না। মাঝে মাঝে চোখ বন্ধ করে চোখকে বিশ্রামও দিন।
গ্লুকোমা বা চোখের চাপ বৃদ্ধি পেয়ে চোখের অপটিক স্নায়ু অকেজো হয়ে দৃষ্টিশক্তির বিলোপ।চক্ষুনালীর প্রদাহ ও চোখের বহিঃস্থ শিরা ফুলে রক্তাভ বর্ণ ধারণ করা ও সংক্রমণ চোখের দেখার শক্তি কমে যায় । আবার চোখের মিউকাস শুকিয়ে গেলে সেখান থেকে হতে পারে চোখের আলসার। ভিটামিন এর অভাবে অনেক সময়ে চোখের ক্ষতি হতে পারে। দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটার এর কাজ করেন এরকম লোকজন , কম দূরত্বে বেশিক্ষণ ধরে ফোকাস বজায় রেখে কাজ করা উচিত। তাতে চোখের কম ব্যাথা হয়। ঘন ঘন চোখের পলক ফেলা ভালো, চোখ শুস্ক হয়ে গেলে তা চোখের পক্ষে ভালো নয়। আর এক মিনিটে কমপক্ষে ১৫বার চোখের পলক ফেলা জরুরি।
শাকসবজি এর সাথে চোখের একটা সম্পর্ক আছে। গাজর, টমেটো, ব্রকোলি, বিন্স, পেপার, ফলমূল ও ড্রাই ফ্রুটস খেতে হবে বেশি করে আর ছোট মাছ খেতে হবে কারন এতে ফস্ফরাস থাকে যেটা চোখের জন্য ভালো । মাঝে মাঝে দুটি হাতের তালু ঘষে গরম করে ৩০ সেকেন্ড মতো চোখের পাতা বন্ধ করে তার উপর চেপে ধরতে হবে , তাতে চোখ ভালো থাকবে । চোখ ভালো রাখতে মাঝে মাঝে চোখের ব্যাম করা দরকার। চোখ বন্ধ করে চোখের মণি উপর থেকে নীচে ও নীচ থেকে উপরে তুলে ব্যায়াম করলে চোখ ভালো থাকে ।