বাংলাহান্ট ডেস্ক : দলের একের পর এক বিধায়ক (MLA) এবং সাংসদরা (MP) বিদ্রোহ ঘোষণা করছেন তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল আর একটি নাম। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mmata Banerjee) সম্মান জানিয়ে এ বার দল থেকে ‘বিদায়’ চাইলেন এক তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA)। হাওড়ায় উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক সমীরকুমার পাঁজার এমনই একটি ফেসবুক পোস্ট করেছেন। আর সেই পোস্ট ঘিরে তৈরি হয়েছে শোরগোল। দলের বিধায়কের এই পোস্ট বেশ খানিকটা অস্বস্তিতে ফেলেছে জোড়াফুল শিবিরকেও।
নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে করা একটি পোস্টে সমীর পাঁজা লেখেন, ‘হ্যাঁ, আমার এই মহান নেত্রী আছেন বলেই, আমি আজও তৃণমূল দল ছেড়ে যাইনি। কারণ কত ঝড়ঝাপটা পেরিয়ে, নানান ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে থেকে ৩৮টা বছর মহান এই নেত্রীর সঙ্গে এক জন সৈনিক হিসাবে কাজ করতে করতে এখন বড়ই বেমানান লাগছে নিজেকে। কারণ আজ অবধি মিথ্যা নাটক করে দলীয় নেতৃত্বের কাছে ভাল সেজে একটা মেকি লিডার হতে চাই না আমি। আমার মতো অবিভক্ত যুব কংগ্রেসের আমল থেকে যারা আছে, তারা আদৌ কোনও গুরুত্ব পাচ্ছে কি বর্তমানে? আমার যাওয়ার সময় হল, দাও বিদায়!’
প্রসঙ্গত, আগে কংগ্রেস করতেন সমীর পাঁজা। ২০১১ সালের আগেই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। সমীরবাবু ফেসবুক পোস্টে তাঁর নিজের ক্ষোভের কথা লিখেছেন। কিন্তু কার উপর তাঁর এই ক্ষোভ তা নিয়ে কোনও কথা বলেলনি তিনি। তবে সমীরের এই পোস্টে তৃণমূল বেশ কিছুটা অস্বস্তিতে পড়বে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল। সমীরের বক্তব্য নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে নারাজ জোড়াফুল শিবিরও। তৃণমূল পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ বলেন, ‘এই সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না।’
দলের নির্ভরযোগ্য নেতার এই প্রতিক্রিয়া ছড়িয়ে পড়তে বেশি সময় লাগেনি৷ এরই মধ্যে সমীর পাঁজার অভিযোগ এবং অভিমানকে সমর্থন জানান রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়৷ তিনি বলেন, ‘সামির পাঁজা দলের সম্পদ ৷ তার হতাশা দুঃখজনক, ও অন্ধের মতো দল করে৷ , দলকেও পুরনো কর্মীদের মর্যাদা দেওয়ার বিষয়ে ভাবতে হবে৷ সমীর ছাড়া হাওড়ায় দল অচল৷’ অরূপবাবু আরও বলেন, ‘আমারও একই অবস্থা। দীর্ঘদ্দিন দল করছি। আমার নেতৃত্বে দল ক্ষমতায় এসেছে। যতদিন আমি মনে করব দলে থাকব। আর দল যেদিন মনে করবে আমিও সরে যাব।’