ভরা বর্ষায় মুখে চওড়া হাসি ইলিশপ্রেমীদের, এক নৌকাতেই উঠল ৬৫ মণ রূপোলি শষ্য! কত লক্ষ টাকায় বিক্রি হল জানেন?

Published on:

Published on:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বর্ষাকাল আসা মানেই বাঙালির মন ‘ইলিশ ইলিশ’ (Hilsa Fish) করবেই। এটাই তো ইলিশের মরশুম। তবে ভরা বর্ষা হলেও ইদানিং রূপোলি শষ্যের দেখা কমই পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। মৎস্যজীবীরাও রোজই সমুদ্রে পাড়ি দিচ্ছেন ইলিশের খোঁজে। আর এবার কার্যত লটারি পেয়ে গেলেন তারা। একটি নৌকাতেই উঠল ৬৫ মণ ইলিশ (Hilsa Fish)! লক্ষ লক্ষ টাকায় বিক্রি হল রূপোলি শষ্য।

এক নৌকাতেই উঠল বিপুল পরিমাণে ইলিশ (Hilsa Fish)

এপার বাংলার মতো বাংলাদেশেও ইলিশের চাহিদা থাকে প্রচুর। তবে বেশ কিছুদিন ধরেই সাগরে ইলিশ (Hilsa Fish) কম উঠছিল। খারাপ আবহাওয়ার কারণে লোকসান হচ্ছিল মৎস্যজীবীদের। তবে এবারে বাংলাদেশের দক্ষিণ জনপদ জেলা পটুয়াখালীতে একটি নৌকায় উঠল ৬৫ মণ ইলিশ (Hilsa Fish)। সেগুলি নিয়ে যাওয়া হয় পটুয়াখালীর আলিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের মেসার্স খান ফিস আড়তে। সেখানেই নিলামে ওঠে ৬৫ মণ ইলিশ (Hilsa Fish)। প্রায় ৪০ লক্ষ টাকায় তা বিক্রি হয়েছে বলে খবর।

Huge amount of hilsa fish caught recently

কোথা থেকে জালে উঠল এত মাছ: জানা গিয়েছে, কুয়াকাটা থেকে পূর্ব দক্ষিণে ১৫০ কিমি দূরে গভীর সমুদ্রে ধরা পড়েছে এই বিপুল পরিমাণ ইলিশ (Hilsa Fish)। স্থানীয় সূত্রে খবর, গত বৃহস্পতিবার ২৩ জন মৎস্যজীবীকে নিয়ে আলিপুর ঘাট থেকে রওনা হয় সাদিয়া ২ নামের ট্রলারটি। দুদিন ধরে সমুদ্রের বিভিন্ন স্থানে জাল ফেলে বিপুল পরিমাণে ইলিশ (Hilsa Fish) তোলে ওই ট্রলার।

আরও পড়ুন : সরকারি পোর্টাল ব্যবহার করেই ৪ হাজার ভুয়ো সার্টিফিকেট! নেপথ্যে কে? এবার সামনে এল মূল অভিযুক্ত

কত টাকায় বিক্রি হল: সূত্রের খবর, বিভিন্ন আকারের এবং ওজনের ইলিশ (Hilsa Fish) ধরা পড়েছে জালে। আলিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার পর তিনটি আকারে আলাদা করা হয়। সবথেকে বেশি অর্থাৎ ৯০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি ওজনের মাছ মণ প্রতি ৯৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। তারপর ৬০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের মাছ বিক্রি হয়েছে ৭০ হাজার টাকায়। অন্যদিকে ৪০০-৫০০ গ্রাম ওজনের মাছ বিক্রি হয়েছে ৫৬ হাজার টাকায়।

আরও পড়ুন : মাছ ধরতে গিয়েছিলেন ৩৪ জন ভারতীয় মৎস্যজীবী, যা করল বাংলাদেশি সেনা… স্বরূপ বেরিয়ে পড়ল ইউনূসের

ইলিশ (Hilsa Fish) ছাড়াও অন্যান্য প্রজাতির মাছও প্রায় ১ লক্ষের বেশি টাকায় বিক্রি হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৩৯ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার মাছ বিক্রি হয়েছে বলে খবর আড়ত সূত্রে। কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য আধিকারিক বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নিষেধাজ্ঞা এবং খারাপ আবহাওয়ার দরুন মৎস্যজীবীরা লোকসানের মুখ দেখেছেন। তবে নিষেধাজ্ঞার কারণেই বেশ কিছুদিন ধরে ভালো মাছ উঠছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে আরও ভালো মাছ উঠবে বলেই আশা করছেন তারা।