তিনমাসে কোটিপতি ৬ জন! ভাগ্য ফেরানোর লক্ষ্যে বারাসতে হুহু করে বাড়ছে লটারির দোকান

বাংলাহান্ট ডেস্ক : এক রাতেই কোটিপতি! অবাক লাগছে শুনতে ? নিশ্চয়ই ভাবছেন এমনটা আবার হয় নাকি ? তবে, মাথা ঠাণ্ডা করে ভাবলে বুঝতে পারবেন এমনটা হতেই পারে যদি আপনার একখান লটারি লেগে যায় অর্থাৎ লটারি কাটলেই কেল্লাফতে। ভাগ্য পরীক্ষার আশায় লটারি টিকিটের দোকানে বাড়ছে ভিড়। বেকার যুবক থেকে ব্যবসায়ী। সকলেই জড়ো হচ্ছেন লটারি টিকিটের দোকানে।

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার জয়নগর এবং দক্ষিণ বারাসত এলাকায় হু হু করে বাড়ছে লটারির চাহিদা। হঠাৎ করে ওই অঞ্চলের কিছু মানুষ লটারি কিনতে শুরু করেছেন। কারণ অনুসন্ধান করলে অবশ্য জানা যাবে, মাত্র তিন মাসের মধ্যে জয়নগর এবং দক্ষিণ বারাসাত এলাকায় ৬ জন মানুষ ডিয়ার লটারিতে টিকিট কেটে জয়ী হয়ে সহজেই কোটিপতি হয়েছেন। তাঁদের দেখাদেখি এখন ওই অঞ্চলের অনেক মানুষই ছুটছেন লটারির টিকিটের লোভে। তাঁদের দেখে উৎসাহী গোটা গ্রামের লোক।

সূত্রের খবর, ওই এলাকার প্রায় সব অলি গলিতেই গজিয়ে উঠেছে সারি সারি লটারির দোকান। কিছু সাধারণ মানুষের লটারি জেতার খবরে এখন সেই সব এলাকার বেশিরভাগ মানুষই লটারি কিনছেন। ফলে, জয়নগর, দক্ষিণ বারাসাত, বহারু প্রভৃতি এলাকায় লাইন দিয়ে রমরমিয়ে চলছে লটারির টিকিট বিক্রি। একদিকে যেমন একাধিক বেকার যুবক লটারি বিক্রি এবং কমিশনের টাকার লোভে এই ব্যবসায়ে নেমেছে তেমনই সাধারণ মানুষ সহজেই কোটিপতি হতে বা বড়োলোক হতে লাইন দিচ্ছেন এইসব দোকানের সামনে।

47910 lottery14 1 16

সেই রকমই একজন লটারির টিকিট বিক্রেতার কথায়, গত তিন মাসের মধ্যে জয়নগর, দক্ষিণ বারাসাত ও বহারু অঞ্চলে ৬ জন লটারির বিজেতা হওয়ায় এখন সেই অঞ্চলে লটারির ক্রেতার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। আর তাই জন্যই তাঁরা নানান জায়গায় লটারির টিকিট বিক্রির জন্য দোকান খুলছেন এবং মানুষ তাতে ভালোই ভিড় জমাচ্ছে। এক রাতের মধ্যে কোটিপতি হতে কেউ কেউ প্রায় প্রতিদিনই লটারির টিকিট কাটছেন। এক ক্রেতার বক্তব্য তিনি রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার জন্য রোজই টিকিট কেটে চলেছেন।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর