বাংলাহান্ট ডেস্কঃ নোভেল করোনাভাইরাসের (corona virus) মারণ কামড় থেকে রক্ষা পায়নি সারা বিশ্ব। যেন মৃত্যু মিছিল লেগেছে। পাশাপাশি আক্রান্তের সংখ্যাটাও কম নয়। এবার এই মারণ কামড়ের কবলে হং কংয়ের (Hong Kong) এক মহিলা। যার একটি দুগ্ধজাত শিশুও আছে। মায়ের দুধের মাধ্যমে শিশুর শরীরে সংক্রামিত হচ্ছে নোভেল করোনাভাইরাস! এরকম কোনও তথ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে না থাকলেও যেসব মায়েরা শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ান তাঁদের সাবধানতা অবলম্বন করতে বলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাহলে কি সন্তান খেতে পাবে না মায়ের দুধ! পথ দেখাচ্ছে হংকং এর এক সংস্থা।
ক্যাথারিন কোসাসির এক সন্তানের বয়স ৪ মাস। করোনা সংক্রমণের হদিশ মেলার পর থেকে হাসপাতালে আইসোলেশনে এই মা। সন্তান সহ বাবা গৃহবন্দি। ৪ মাসের সন্তানের দেহে রয়েছে অ্যালার্জির লক্ষণ। বুকের দুধ ছাড়া অন্য দুধ খেলে দেখা দেয় চরম সঙ্কট। উপায় কী! পথ দেখালেন হংকং এর সোশাল মিডিয়া গ্রুপ “হংকং ব্রেস্টফিডিং”এর প্রতিষ্ঠাতা মেকফার্লেন ও অন্যান্য মায়েরা। সকলে নিজেদের বুকের দুধ ফ্রোজেন অবস্থায় প্যাকেটজাত করে পৌঁছে দিলেন ওই শিশুর কাছে। মেকফার্লেনের তত্ত্বাবধানে গিলিয়ান কাউল নামে এক ব্যক্তি নিজের মোটর সাইকেলে করে বিভিন্ন স্থানে মায়েদের কাছ থেকে বুকের দুধ সংগ্রহ করলেন। অড সেনেলার, অ্যানা রিভেরা ছাড়াও অন্যান্য মায়েরা মিলে মোট ১৫ লিটার বুকের দুধ তুলে দিয়েছেন ওই সন্তানের জন্য। যে পরিমাণ দুধ সংগ্রহ হয়েছে তা দিয়ে প্রায় ২ সপ্তাহের খাবারের জোগান হয়ে যাবে ওই শিশুর। একটি পাম্পের মাধ্যমে বুকের দুধ প্যাকেটজাত করা হয়েছে। যা ফ্রোজেন অবস্থায় অনেক দিন সতেজ থাকবে।
এই ঘটনায় আবেগঘন হয়ে সন্তানের মা কোসাসি বলেছেন, “আমার চোখে জল চলে এসেছিল, আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারছিনা আমার সন্তানের জন্য সব মায়েরা নিজেদের বুকের দুধ দিয়েছে।”