বাংলাহান্ট ডেস্ক : এই প্রথম জীবিত মানুষের পেটে প্রতিস্থাপন করা হল শূকরের কিডনি। এই ধরনের সাফল্যে কিডনির চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত খুলে গেল বলে মনে করেছেন চিকিৎসকেরা। আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকেরা ২৪ ঘন্টার সফল অস্ত্রপচারের পর এই অসাধ্য সাধন করেছেন। প্রসঙ্গত, ১৯৫৪ সালে এই হাসপাতালেই বিশ্বের প্রথম কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছিল।
৬২ বছর বয়সী রিক স্লেম্যানের শরীরের সফলভাবে শূকরের কিডনি প্রতিস্থাপন করা গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। বর্তমানে স্থিতিশীল তিনি। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এই কিডনি বছরের পর বছর ঠিক থাকতে পারে। তবে শূকরের কিডনি জীবিত মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপনের বিষয়টি নিয়ে আরো গবেষণা করতে হবে।
আরোও পড়ুন : বেনজির কীর্তি ISRO’র! আকাশ থেকে নিজেই নামল ভারতের ‘পুষ্পক’, নয়া ইতিহাস ভারতের
এর আগে শূকরের কিডনি পরীক্ষা মূলকভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল মস্তিষ্ক-মৃত মানুষের মধ্যে, তবে এইভাবে জীবিত মানুষের শরীরে শূকরের কিডনি প্রতিস্থাপন এই প্রথম। রিক স্লেম্যান জানিয়েছেন, হাসপাতালের ট্রান্সপ্লান্ট প্রোগ্রামে গত ১১ বছর ধরে চিকিৎসারত ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালে তার শরীরে একবার মানব কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়।
তবে পাঁচ বছরের মধ্যে সেটি নষ্ট হয়ে যায়। ২০২৩ সালের ফের তার ডায়ালিসিস শুরু হয়। কিডনির সমস্যা চরমে পৌঁছালে চিকিৎসকেরা তাকে শূকরের কিডনি প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দেন।স্লেম্যান একটি বিবৃতিতে বলেছেন, “আমি এটিকে শুধুমাত্র নিজের জন্য সাহায্য নয়, বরং হাজার হাজার মানুষের জন্য আশা হিসাবে দেখেছি যারা গুরুতর কিডনি রোগের সাথে লড়াই করছে।”