বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রাণনাশের হুমকি পাওয়ার অভিযোগ তুলে এবার নিরাপত্তা চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। সদ্য তৃণমূল কংগ্রেস থেকে সাসপেন্ড হওয়া এই বিধায়কের দাবি, তাঁকে ঘিরে হুমকির পরিস্থিতি ক্রমশ গুরুতর হয়ে উঠছে।
বাবরির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পরের দিন থেকেই প্রাণনাশের হুমকি পাচ্ছেন বলে অভিযোগ হুমায়ুনের (Humayun Kabir)
হুমায়ুন কবীরের (Humayun Kabir) অভিযোগ, বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার পর থেকেই তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। শনিবার বেলডাঙায় বাবরির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি। তাঁর দাবি, তার ঠিক পরের দিন, সোমবার থেকেই তিনি প্রাণনাশের হুমকি পাচ্ছেন। সংবাদমাধ্যমের সামনে হুমায়ুন বলেন, রোজই বাইরের রাজ্য থেকে ফোন আসছে এবং তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে হুমায়ুন নিরাপত্তা চেয়ে আদালতের শরণাপন্ন হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। হুমায়ুন কবীর বলেন, “সেন্ট্রাল গর্ভমেন্ট আমাকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য লোক পাঠিয়েছিল। কিন্তু আমি বলেছি, আমি হাইকোর্টে যাব। হাইকোর্ট যদি আমাকে নিরাপত্তা দেয়, সেই মোতাবেকই নিরাপত্তা নেব।”
কেন তিনি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নিতে চাইছেন না, সে বিষয়েও ব্যাখ্যা দিয়েছেন ভরতপুরের বিধায়ক (Humayun Kabir)। তাঁর বক্তব্য, শাসকদলের অনেকেই তাঁকে বিজেপির প্রভাবিত বলে প্রচার করছেন। এই অবস্থায় তিনি যদি কেন্দ্রের নিরাপত্তা নেন, তাহলে সেই অভিযোগ আরও জোরালো হবে। তাই তিনি আপাতত কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা গ্রহণ করছেন না। তবে নিরাপত্তার প্রয়োজন যে বাস্তব, সেটাও স্পষ্ট করে জানিয়েছেন হুমায়ুন। তাঁর দাবি, এক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি যিনি একজন বড় শিল্পপতি, নিজের দায়িত্বে তাঁকে ব্যক্তিগত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। হায়দরাবাদ থেকে আটজন নিরাপত্তারক্ষী ইতিমধ্যেই তাঁর কাছে পৌঁছেছেন।
হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir) আরও জানান, তিনি নিরাপত্তা বাড়ানোর আবেদন জানিয়ে রাজ্য সরকার ও রাজ্য পুলিশকে ইমেল করবেন। পাশাপাশি কেন্দ্রকেও বিষয়টি জানাবেন। তাঁর কথায়, ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের তরফে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে তিনি চান, রাজ্য থেকেই নিরাপত্তা পাক, আর তা আদালতের নির্দেশে।

উল্লেখ্য, বিধায়ক হিসেবে রাজ্যের তরফ থেকে যে নিরাপত্তা তিনি পেতেন, তা এখনও প্রত্যাহার করা হয়নি। কিন্তু হুমায়ুন কবীরের (Humayun Kabir) দাবি, যেভাবে লাগাতার হুমকি ফোন আসছে, তাতে বর্তমান নিরাপত্তা যথেষ্ট নয়। সে কারণেই তিনি বাড়তি সুরক্ষার জন্য এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছেন।












