বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে যখন সর্বত্রই নারী-পুরুষের সমান অধিকারের প্রসঙ্গ উঠে আসছে ঠিক সেই আবহেই বিভিন্ন জায়গা থেকে সামনে আসছে বধূ নির্যাতনের মত ঘৃণ্য ঘটনাও। সেই রেশ বজায় রেখেই এবার এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। লুঙ্গি না ধোয়ার জন্য স্ত্রীর উপর অমানবিক আচরণ করলেন স্বামী। শুধু তাই নয়, স্ত্রীর চুল কেটে দিয়ে তাঁকে মারধর করে জোর করে তালাকনামায় স্বাক্ষর করানোরও অভিযোগ উঠল ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজশাহীর বাঘায়।
এদিকে, স্বামী আমির উদ্দিনের মারে গুরুতর আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন জরিনা খাতুন নামের ওই মহিলা। জানা গিয়েছে, বছর খানেক আগে উমরপুর গ্রামের দিনমজুর হারেজ উদ্দিনের মেয়ে জরিনা খাতুনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল আমির উদ্দিনের। যদিও, বিয়ের পর থেকেই সংসারে প্রায় সবসময়ই অশান্তি লেগে থাকতো। এমনকি, আমির উদ্দিন তাঁর স্ত্রীকে মারধরও করতেন।
এমতাবস্থায়, গত ১ জানুয়ারি আমির উদ্দিনের লুঙ্গি ধুয়ে দিতে দেরি হওয়ায় রাগে জরিনার উপর চড়াও হন তিনি। প্রথমে মারধর করার পরেও ক্ষান্ত হননি আমির উদ্দিন। তারপর জরিনার চুলও কেটে দেন। শুধু তাই নয়, রাগের চোটে জরিনাকে ডিভোর্সও দিয়ে দেন তিনি। এদিকে, ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জরিনার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, “বিয়ের পর থেকেই আমির ওর উপর অত্যাচার করত। এমনকি, বাড়ির কোনও কাজে সামান্যতম ভুল হলেই চলত মারধর। এর আগেও এমন ঘটনা অনেকবার ঘটেছে। ১ জানুয়ারি আমিরের লুঙ্গি না কাচায় রেগে ওঠে আমির। আর তারপরেই সে মারধর শুরু করে।”
এই প্রসঙ্গে জরিনা খাতুন জানিয়েছেন, “বিয়ের পর থেকেই সংসারে সবসময় অশান্তি লেগে থাকত। আমাকে কারণে অকারণে মারধর করা হত। এমনকি, মারধরের পর আমার মাথার চুল কেটে দিয়ে আমাকে ডিভোর্স দিয়ে দিয়েছে।”
এমতাবস্থায়, বাংলাদেশের বাঘা থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন জানিয়েছেন, “এই অভিযোগ নিয়ে এক মহিলা থানায় এসেছিলেন। আপাতত তাঁকে আমরা চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছি। পরে এই বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের হলে আমরা আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করব।” তবে, স্ত্রীর আনা যাবতীয় অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অবশ্য মুখ খুলতে নারাজ আমির।