‘মন্ত্রী ছিলাম, কিন্তু নিয়োগে কোনও নিয়ন্ত্রণ ছিল না!” পার্থর বিস্ফোরক দাবি ঘিরে শোরগোল

বাংলাহান্ট ডেস্ক : শুক্রবার আলিপুর আদালতে বিস্ফোরক এক দাবি করলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। পার্থ এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান কল্যাণময় বন্দ্যোপাধ্যায়কে হেফাজতে নিতে চেয়ে এদিন আদালতে আবেদন জানায় সিবিআই (CBI)। তার উপর ভিত্তি করেই পার্থর আইনজীবী এদিন আদালতে একটি আবেদন জানান।

আদালতে জানানো আবেদনে পার্থ বলেন, আমি যখন শিক্ষামন্ত্রী ছিলাম তখন আমার ভূমিকা ঠিক কী ছিল তা যেন খতিয়ে দেখা হয়। তিনি দাবি করেন, আমি শিক্ষা মন্ত্রী পদে ছিলাম ঠিকই, কিন্তু নিয়োগের ব্যাপারে আমার কোনও নিয়ন্ত্রণ ছিল না। পার্থর আরও দাবি করেন, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তাঁকে গ্রেফতার করলেও এখনও পর্যন্ত কোনও চার্জশিট পেশ করতে পারেনি। সুতরাং তাঁকে জামিন দেওয়া হোক।

একদিকে সিবিআই মনে করছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই নিয়োগ কেলেঙ্কারির মাস্টারমাইন্ড বলছে। কিন্তু প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী ইঙ্গিত করছেন তাঁর হাতে কিছুই ছিল না। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাতে যদি নিয়োগের না থাকে, তা হলে নিয়ন্ত্রণ করত কে? কারা নিয়ন্ত্রণ করত শিক্ষা দফতর তথা সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া?

নিয়োগ কেলেঙ্কারি নিয়ে এর আগে হাইকোর্টে বাগ কমিটি যে রিপোর্ট পেশ করে তাতে কল্যাণময় বন্দ্যোপাধ্যায়, অশোক সিনহা, শান্তিপ্রসাদ সিনহাদের যড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করা হয়। আবার শান্তিপ্রসাদকে স্কুল সার্ভিসের উপদেষ্টা পদে নিয়োগ করেন কিন্তু পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই।

গ্রুপ সি মামলায় পরীক্ষা ও ইন্টারভিউ হয় ২০১৭ সালে। তার নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় ২০১৯ সালে। সিবিআই-এর দাবি অন্তত চারশ জন প্রার্থীকে বেআইনি ভাবে নিয়োগ করা হয় এই সময়।

এদিন আদালতে পার্থর দাবি নিয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা গোড়া থেকেই বলছিলাম, শুধু শিক্ষামন্ত্রী নন এই নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে সরকারের মাথারাও জড়িত ছিলেন। কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি কী করবে জানি না। তবে আমরা চাই কলকাতা হাইকোর্ট পার্থর এই বক্তব্যকে যেন গুরুত্ব দিয়ে দেখে। এবং সেই অনুযায়ী তদন্তের নির্দেশ দেয়।’

Sudipto

সম্পর্কিত খবর