বাংলা হান্ট ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ের বিলহাউরে গঙ্গায় স্নান করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন IAS অফিসার (IAS Officer) আদিত্য বর্ধন সিং। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, গত শনিবার সকালে, তিনি তাঁর দুই বন্ধুর সাথে গঙ্গায় স্নান করতে বিলহাউরের নানামাউ ঘাটে পৌঁছেছিলেন। সেইসময়ে আচমকাই তাঁর পা পিছলে গিয়ে তিনি গভীর জলের মধ্যে নিখোঁজ হয়ে যান। IAS আদিত্য বর্ধন বর্তমানে স্বাস্থ্য বিভাগে ডিরেক্টর পদে নিযুক্ত রয়েছেন। তাঁর স্ত্রী মহারাষ্ট্রের পুণের একজন বিচারক।
বন্ধুদের সাথে গঙ্গায় স্নান করতে নেমে নিখোঁজ IAS অফিসার (IAS Officer):
উল্লেখ্য যে, আদিত্য বর্ধনের দুই খুড়তুতো ভাইও IAS অফিসার (IAS Officer) এবং তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ পদে নিযুক্ত রয়েছেন। এদিকে, এই ঘটনার খবর পেয়ে প্রশাসন ডুবুরিদের সহায়তায় উদ্ধার অভিযান শুরু করলেও এখনও পর্যন্ত কোনও খবর পাওয়া যায়নি। আদিত্য বর্ধন সিংয়ের পুরো পরিবার বর্তমানে লখনউয়ের ইন্দিরানগরে থাকে। তাঁর বাবা রমেশচন্দ্রও সেচ দফতরের উচ্চপদে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি অবসরে নিয়েছেন এবং অবসর নেওয়ার পর ইন্দিরানগরে বাড়ি তৈরি করেছিলেন।
আদিত্য সিংয়ের বাবা-মা অস্ট্রেলিয়ায় রয়েছেন: IAS (IAS Officer) আদিত্য বর্ধন সিংয়ের এক বোন অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন। বর্তমানে বোন প্রজ্ঞার সঙ্গে তাঁর বাবা-মাও অস্ট্রেলিয়ায় রয়েছেন। তাঁর স্ত্রী শ্রেয়া মহারাষ্ট্রের আকোলা জেলার একজন বিচারক। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনার বিষয়ে পরিবারের সদস্যদের অবহিত করা হয়েছে। তাঁরা ইতিমধ্যেই উন্নাও পৌঁছে গিয়েছেন। তথ্য অনুযায়ী, আদিত্য বর্ধন সিং পা পিছলে গিয়ে গভীর জলে ডুবে যেতে শুরু করলে তাঁর বন্ধু প্রদীপ ঘাটে উপস্থিত ডুবুরিদের কাছে সাহায্য চান।
আরও পড়ুন: চোখ ধাঁধানো ইন্টেরিয়র! সামনে এল বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেনের ফার্স্ট লুক, দেখলে হয়ে যাবেন “হাঁ”
এখনও কোনও ক্লু পাওয়া যায়নি: সেই সময় ডুবুরিরা জলে সন্ধান চালানোর জন্য ১০ হাজার টাকা চেয়েছিল। যেহেতু প্রদীপের কাছে এত নগদ টাকা ছিল না, তাই তিনি পুরো টাকা অনলাইনে ঘাটে স্থিত এক দোকানদারের কাছে স্থানান্তর করেন। এরপর ডুবুরিরা সন্ধান কাজ শুরু করলে অনেক চেষ্টা করেও আদিত্য বর্ধন সিংয়ের কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: ফোনে কার্টুন দেখছিল ৯ বছরের বালক! আচমকাই হাতে ফাটল মোবাইল, তারপরেই….জানলে শিউরে উঠবেন
এদিকে প্রশাসনও বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়। বিষয়টি বাড়তে দেখে তৎক্ষণাৎ প্রদীপের কাছ থেকে অনলাইনে নেওয়া ৯ হাজার টাকা ফেরত দেন ওই দোকানদার। বাকি ১ হাজার টাকা স্টিমারে পেট্রোল ও অন্যান্য খরচের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানানো হয়।