বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: চোটের কারনে এশিয়া কাপের মাঝপথ থেকে ছিটকে যেতে হয়েছিল গত বছর। খেলতে পারেনি অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে আয়োজিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও। হাঁটুর চোট এতটাই গুরুতর ছিল যে অস্ত্রোপচার করাতে হয়। দীর্ঘদিনের নিজের পায়ে ঠিকঠাকভাবে হাঁটতেও পারেননি। একসময় বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে (Border-Gavaskar Trophy) তাকে পাওয়া যাবে কিনা সেই নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছিল। সেই রবীন্দ্র জাদেজাই (Ravindra Jadeja) আড়াই দিনে শেষ হয়ে যাওয়া নাগপুর টেস্টের (Nagpur Test) নায়ক হয়ে গেলেন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে।
আন্তর্জাতিক মঞ্চে ফেরার আগে জাদেজা ঘরোয়া ক্রিকেটে কেবলমাত্র একটি রঞ্জি ম্যাচ খেলেছিলেন সৌরাষ্ট্রের হয়ে। সেই ম্যাচে বল হাতে এক ইনিংসে ৭ উইকেটে নিয়েছিলেন তিনি। এরপর ভারতীয় দলে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত হয়ে যায়। নিজেকে ম্যাচ ফিট প্রমাণ করে পাঁচ মাস পরে ভারতীয় জার্সিতে প্রত্যাবর্তন করেন জাদেজা।
প্রথম ইনিংসে তার ঘূর্ণিতে চুরমার হয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। স্মিথ, লাবুশানে সহ আরো তিন অজি ব্যাটারিকে ড্রেসিংরুমে ফেরত পাঠিয়েছিলেন তিনি।এরপর ভারতীয় ইনিংস চলার সময় ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ ৭০ রানের যোগদান দেন জাদেজা। দ্বিতীয় ইনিংসে অশ্বিনের (৫/৩৭) জাদুর পাশে উজ্জ্বল উপস্থিতি ছিল এই তারকা অলরাউন্ডারের। লাবুশানে ও কামিন্সকে ফিরিয়ে দেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে স্টিভ স্মিথকে ফের বোল্ড করেছিলেন, কিন্তু সেই ডেলিভারিটি নো বল হওয়ায় তৃতীয় উইকেট আসেনি। সেই ঘটনা অবশ্য প্রথম টেস্টে তার ম্যাচের সেরা হওয়া আটকাতে পারেনি।
কিন্তু ম্যাচের পর একটি বিপাকে জড়িয়েছেন তারকা ভারতীয় অলরাউন্ডার। প্রথম ইনিংসে তার বিরুদ্ধে বল ট্যাম্পারিংয়ের অভিযোগ উঠেছিল একটি ভিডিও সামনে এনে। যদিও ভারতীয় দল পরবর্তীকালে তাকে নিয়ে রিপোর্ট পেশ করে এবং জানায় নিজের তর্জনীতে যন্ত্রণা কমানোর একটি বিশেষ ক্রিম লাগাচ্ছিলেন এবং কোনওরকম অনৈতিক কাজ তিনি করেননি।
তবে তাতে লাভ হয়নি। আইসিসি ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি প্যাক্রফ্ট তাকে আইসিসি কোড অফ কন্ড্যাক্টের ২.২০ ধারা ভঙ্গ করার কারণে তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। এরপর শাস্তি স্বরূপ তার ম্যাচ ফি-এর ২৫ শতাংশ কেটে নেওয়া হয়েছে। তবে এখনো অবধি তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যান জাতীয় শাস্তি চাপানো হয়নি বা ভবিষ্যতে তেমন হওয়ার সম্ভাবনাও কম।