বাংলা হান্ট ডেস্ক : দিন প্রতিদিন বাড়ছে রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) জনপ্রিয়তা। কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রার পর কিছুটা হলেও বদলেছে রাজনৈতিক চিত্র। কর্ণাটকের নির্বাচনে (Karnataka Election) কার্যত পর্যুদস্ত হয়েছে বিজেপি (Bharatiya Janata Party) দক্ষিণের রাজ্যে ভোট টানতে ব্যর্থ মোদি ম্যাজিক। বছর দুয়েক আগে হারের মুখ দেখতে হয়েছে বাংলাতেও। এরপরই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে এবার কি তাহলে উল্টে যাবে গদি? প্রকাশ্যে এল চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট।
তামিলনাড়ু, কেরল, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, রাজস্থান, পাঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গের মতো বড় রাজ্যগুলিতে ক্ষমতায় নেই বিজেপি। মহারাষ্ট্রে রয়েছে জোট সরকারে। তাই বলা যায়, আজ থেকে ৯ বছর আগে বিজেপি যখন ক্ষমতায় এসেছিল তখন যে আধিপত্য ছিল, বা ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে যে দাপট বিজেপি দেখিয়েছিল তা এখন ইতিহাস। ক্ষমতা বাড়াচ্ছে কংগ্রেস। শক্তিশালী হচ্ছে বিরোধী জোট। এরপরই প্রশ্ন ওঠে, এখনই যদি লোকসভা নির্বাচন হয় তাহলে কার ভাগ্যে শিকে ছিঁড়বে?
এই উত্তর দিচ্ছে সিএসডিএস নামের একটি সংস্থা। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি রিপোর্টে ওই সংস্থা জানাচ্ছে, ভারত জোড়ো যাত্রায় রাহুল গান্ধীর জনপ্রিয়তার পালে একটু হাওয়া লাগলেও ভাটা পড়েনি নরেন্দ্র মোদির জনভিত্তিতে। শুধু তাই নয়, এখুনি লোকসভা নির্বাচন হলেও কংগ্রেসের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা বিন্দুমাত্র আঁচড় কাটতে পারবে না বিজেপির ভোটব্যাঙ্কে।
চলতি মে মাসেই ১০ থেকে ১৯ তারিখের মধ্য মোট ১৯টি রাজ্য জুড়ে করা হয় এই সমীক্ষা। জানা যাচ্ছে, মোট ৪৩ শতাংশ মানুষ মনে করছে ফের ক্ষমতায় বসতে চলেছে বিজেপি। অপরদিকে ৩৮ শতাংশ মানুষ মনে করছে অন্য কোনও দল দখল করবে দিল্লির মসনদ। এখুনি নির্বাচন হলে ৪০ শতাংশ মানুষ ভোট দেবেন বিজেপিকে। অপর দিকে ২৯ শতাংশ মানুষের ভোট কংগ্রেসের দিকে, এমনই জানা যাচ্ছে সমীক্ষার রিপোর্ট থেকে।
কর্ণাটকে পর্যুদস্ত হওয়ার পরও বিশেষ সুখবর বিজেপির জন্য। রাহুল গান্ধীর জনপ্রিয়তা যতই বাড়ুক তা মোদির সমকক্ষ কখনোই নয় বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল। আর তার প্রভাব পুরোদস্তুর পড়বে ব্যালট বক্সেও। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ভোট পেয়েছিল ৩৭ শতাংশ। ২০২৩ সালে তা বেড়ে হবে ৩৯ শতাংশ। মারাত্মক বৃদ্ধি হবে কংগ্রেসের ব্যালটের ঝুলিতেও। ২০১৯ সালে কংগ্রেস পেয়েছিল ১৯ শতাংশ ভোট। ২০২৩ সালে তা বেড়ে হবে ২৯ শতাংশ।
সমীক্ষায় অংশ গ্রহণকারী ৪৩ শতাংশ মানুষ প্রধানমন্ত্রী পদে সমর্থন করছেন নরেন্দ্র মোদিকেই। রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হন তা চাইছেন ২৯ শতাংশ মানুষ। অপরদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রধানমন্ত্রী হন তা চাইছেন ৪ শতাংশ মানুষ। যথাক্রমে ৩ শতাংশ ও ১ শতাংশ মানুষ চাইছেন প্রধানমন্ত্রী পদে বসুন অখিলেশ যাদব ও নীতিশ কুমার।