বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: দুদিন আগে পুরো ব্রাজিলিয়ান স্কোয়াড ইতালির মাটিতে পৌঁছে গিয়েছে। কাতারে উড়ে যাওয়ার আগে ইতালির, তুরিনে নিজেদের প্রস্তুতিপর্ব সম্পূর্ণ করছে টিটের কোচিংয়ে থাকা দল। চোট আঘাত মুক্ত অবস্থাতেই ক্লাব থেকে যোগ দিতে পেরেছেন সকল গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলাররা। ব্রাজিলের এইবারের দলে প্রতিভার ছড়াছড়ি। তাই ব্রাজিল সমর্থকরা এবারে দলের ট্রফি জয়ের ব্যাপারে অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী।
ব্রাজিলিয়ান দলে প্রতিভার ছড়াছড়ি থাকলেও এখনো তাদের সবচেয়ে বড় তারকার নাম নেইমার জুনিয়র। দেশের জার্সিতে তার রেকর্ড অত্যন্ত ভালো। দেশকে ট্রফি জেতাতেও সক্ষম হয়েছিলেন এই তারকা ব্রাজিলিয়ান। ২০১৩ সালে তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের ওপর ভর করেই ফাইনালে স্পেনকে হারিয়ে কনফেডারেশন কাপ জিতেছিল ব্রাজিল।
কিন্তু কোপা আমেরিকা বা বিশ্বকাপের মত বড় ট্রফি এখনো ছুঁয়ে দেখা হয়নি ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টারের। ২০১৯ সালে ব্রাজিল যখন কোপা আমেরিকা যেতে তখন নেইমার চোটের জন্য ব্রাজিলিয়ান স্কোয়াডের অংশ ছিলেন না। আর জাতীয় দলে নেইমারের অভিষেকের পর বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত ব্রাজিল সেমিফাইনালের বেশি এগোতে পারেনি। তবে এবার মরিয়া চেষ্টা করতে প্রস্তুত নেইমার সহ ব্রাজিলের বাকি সদস্যরাও।
নেইমার নিজেও ব্রাজিলের জার্সিতে একটি বড় মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। এই মুহূর্তে ব্রাজিলের হলুদ জার্সি গায়ে ১২১ টি ম্যাচ খেলার পর তার গোলসংখ্যা ৭৫। আর মাত্র তিনটি গোল করতে পারলে ব্রাজিলের সর্বকালের সেরা কিংবদন্তি পেলের জাতীয় দলের হয়ে গোলসংখ্যাকে টপকে যেতে পারবেন পিএসজি তারকা। দেশের হলুদ চাষিদের ৯২ টি ম্যাচ খেলে ৭৭ গোল করার রেকর্ড রয়েছে পেলের। তিনি এখনও ব্রাজিলের জাতীয় দলের জার্সি গায়ে সর্বোচ্চ গোলসংগ্রাহক। তাকে টপকে গেলে নেইমার ব্রাজিলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে যাবেন।
একটা কথা সকলের কাছেই পরিষ্কার যেটা হলো এই যে ব্রাজিল যদি বিশ্বকাপ জিততে চায় তাহলে নেইমার জুনিয়রের নিজের সেরা ফর্মে থাকা জরুরী। বিশ্বকাপের মঞ্চে ১০ টি ম্যাচ খেলে ৬টি গোল এবং ৩ টি অ্যাসিস্ট করেছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। চলতি মরশুমে ক্লাব ফুটবলে তিনি ইতিমধ্যেই ১৩ টি গোল করে ফেলেছেন নেইমার। বিশ্বকাপেও নিজের সেরা ছন্দেই পাওয়া যাবে ব্রাজিলিয়ান তারকাকে এমনটাই প্রত্যাশা ব্রাজিল সমর্থকদের।