বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করার পরেই, চব্বিশে দিল্লি দখলের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে তৃণমূল। আজ একুশে জুলাইয়ের সভা মঞ্চ থেকেও তারই সলতে পাকাতে দেখা গেল তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জিকে। একদিকে যেমন ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে মমতার ভাষণ শুনতে দিল্লিতে কনস্টিটিউশন হলে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা তথা দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম, দিগ্বিজয় সিং, এনএসপি প্রধান শরদ পওয়ার, নেত্রী সুপ্রিয়া সুলে, সমাজবাদি পার্টি নেত্রী জয়া বচ্চন তেমনি উপস্থিত ছিলেন উপস্থিত ছিলেন রামগোপাল যাদব, ত্রিরুচি শিবা, কেশব রাও (টিআরএস), সঞ্জয় সিং(আম আদমি পার্টি), মনোজ ঝাঁ (আরজেডি), প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী (শিব সেনা), বলবিন্দর সিং ভাণ্ডারিরাও (অকালি দল)।
কার্যত আজ সকলকে জোট বদ্ধ হয়ে লড়াইয়ের জন্য আহ্বান জানান তৃণমূল নেত্রী। একদিকে যেমন তার কথায় ছিল গেরুয়া শিবিরের প্রতি তীক্ষ্ণ শ্লেষ, তেমনি অপর পক্ষে ছিল অল ইন্ডিয়া ফ্রন্ট গড়ে তোলার আহ্বান। এদিন তিনি বলেন, “সব রাজ্যকে বলছি। নেতাদের বোঝান সবাই মিলে ফ্রন্ট বানান।” তার কথাতেই বোঝা গিয়েছিল লক্ষ্য নির্দিষ্ট। ২০১৯ এ যা সম্ভব হয়নি তা ২০২৪ লোকসভায় করে দেখাতে মরিয়া তৃণমূল।
শুধু নেতাদের নয় জনগণের প্রতি তিনি আহ্বান জানান একসঙ্গে প্রতিবাদ করার। মমতা বলেন, “সকলকে বলব একজোটে প্রতিবাদে নামুন। জানতে চান, পেট্রোল, ডিজেল, গ্যাসের দাম বাড়ল কেন? টিকা নেই কেন? পেগাসাস নরেন্দ্র মোদীর নাভিশ্বাস। পেগাসাস হটাও দেশ বাঁচাও।” শুধুমাত্র যে নেতিবাচক মনোভাব নিলে ফলাফল মেলেনা ২০১৯ সালে তার প্রমাণ পেয়েছে বিরোধী দলগুলি। সেই সূত্র ধরেই এবার একুশের সভা মঞ্চকে কাজে লাগিয়ে ফ্রন্টের প্রথম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিও দিয়ে রাখলেন মমতা। তিনি বলেন, “ফ্রন্ট ক্ষমতায় এলে সকলকে বিনামূল্যে রেশন ও চিকিৎসা দেওয়া হবে।”
রাজনৈতিক মহলের মতে, অতিমারীতে বিনামূল্যে রেশন এবং চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। এখনও টিকার অভাব নিয়ে সরব বিরোধীরা। সেই সূত্র ধরেই মানুষের প্রধান দুই চাহিদা খাদ্য এবং সুস্বাস্থ্যকে নিজের প্রতিশ্রুতিতে শামিল করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। যদিও আগামী দিনে এই ফ্রন্ট আদৌ কোনো কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারে কিনা তা বলে দেবে সময়ই।