বাংলা হান্ট ডেস্ক: রাস্তায় যানবাহণ চলাচলের ক্ষেত্রে অবশ্যই মেনে চলতে হয় কিছু নিয়ম। পাশাপাশি, সেইসব নিয়মে প্রায়শই বিভিন্ন পরিবর্তন নিয়ে আসা হয়। যেগুলি সম্পর্কে সচেতন থাকতে হয় চালকদের। নাহলেই জারি হয় চালান (Challan)। সেই রেশ বজায় রেখেই এবার একটি বড় আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, এবার গাড়িতে পেট্রোল ভর্তি করার জন্য সরকার কর্তৃক PUC (Pollution Under Control) সার্টিফিকেট চেক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
নিয়ম না মানলেই জারি হবে চালান (Challan):
এমতাবস্থায়, আপনি যদি PUC সার্টিফিকেট ছাড়াই আপনার গাড়িতে পেট্রোল ভরতে যান, সেক্ষেত্রে আপনাকে ১০,০০০ টাকার চালানের (Challan) সম্মুখীন হতে হবে। এই প্রসঙ্গে দিল্লি সরকার ১০০ টি পেট্রোল পাম্পে PUC সার্টিফিকেট চেকিংয়ের জন্য ক্যামেরা ইনস্টল এবং সফ্টওয়্যার ইনস্টল করার জন্য একটি বেসরকারি সংস্থাকে টেন্ডার দিয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। যার ফলে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নবগতি টেক কোম্পানিকে তাদের পরিষেবা শুরু করতে হবে।
১০,০০০ টাকার ই-চালান কাটা হবে: এই বিষয়ে, পরিবহণ দফতরের আধিকারিক বলেছেন, ইতিমধ্যেই ওই সংস্থাটিকে ১৫ দিনের মধ্যে PUC তদন্তের জন্য সিস্টেম প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে। যার ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ কোটি টাকা। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে পেট্রোল পাম্পে আসা যানবাহণের বৈধ PUC সার্টিফিকেট না থাকলে পরীক্ষা করার জন্য কয়েক ঘন্টা সময় দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: মিস করবেন না সুযোগ! এবার এই কেন্দ্রীয় সংস্থায় মিলবে কাজ, জারি বিজ্ঞপ্তি, কিভাবে করবেন আবেদন?
তবে, যদি ওই সময়ের মধ্যে PUC সার্টিফিকেট না করা হয়, সেক্ষেত্রে ১০,০০০ টাকার ই-চালান (Challan) জারি করা হবে। স্বয়ংক্রিয়ভাবে কেটে নেওয়া ওই চালান সম্পর্কে তথ্য গাড়ির মালিকের মোবাইলে পাঠানো হবে বলেও জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: বিফলে গেল সব চেষ্টা! হাতছাড়া হল অনিল আম্বানির এই সংস্থা, রয়েছে ২৩,৬৬৬ কোটির ঋণ
স্ক্যান করে সব খুঁজে বের করবে ক্যামেরা: এর পাশাপাশি, পরিবহণ আধিকারিক আরও বলেছেন যে গাড়ির বৈধ PUC সার্টিফিকেট আছে কি না তা জানতে ক্যামেরা গাড়ির নম্বর প্লেট স্ক্যান করবে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, বিভিন্ন দূষক যেমন কার্বন মনোক্সাইড এবং কার্বন ডাই অক্সাইড-এর নির্গমন মানগুলির জন্য গাড়িগুলিকে সময়ে সময়ে পরীক্ষা করা হয়। তারপরে সেগুলিকে PUC সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। এমতাবস্থায়, এই পদক্ষেপ শুরু হলে পেট্রোল পাম্পে প্রযুক্তি স্থাপনের ফলে PUC-র ক্ষেত্রে আর ফাঁকি দেওয়া যাবে না বলেই মনে করছেন আধিকারিকরা।