বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের রাজনীতির রাজনীতির রঙ লাগলো পশ্চিমবঙ্গের ঐতিহ্যশালী বিশ্ববিদ্যালয় কলকাতা প্রেসিডেন্সিতে (Presidency University)। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি ছবি। সেখানে দেখা যাচ্ছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে হিন্দু হস্টেল চত্বরে করা হয়েছে ইফতারের আয়োজন। এই ছবি সামনে আসতেই দানা বাঁধে বিতর্কের।
চলতি বছরের সরস্বতী পুজোর ঘটনা। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে করা যাবে না সরস্বতী পুজো। কারণ হিসাবে বলা হয় শিক্ষাক্ষেত্রে কোনও ধর্মীয় অনুষ্টান করা যাবে না। কিন্তু জেদ ধরে ছাত্র ইউনিয়ন। এদিকে মাথা নামাতে রাজি নয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। শুরু হয়ে যায় তুলকালাম অশান্তি। ঝামেলা বেঁধে যায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ভিতরেই।
এই সংঘাতে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীরাও। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে সরস্বতী পুজো হচ্ছে। পুজোর কয়েকদিন আগে রাতে ফেসবুকে ‘আমন্ত্রণপত্র’ পোস্ট করেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। বেশ অনেকদিন দিন ধরেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং টিএমসিপি-র মধ্যে সরস্বতী পুজো নিয়ে টানাপড়েন চলছিল। সেখানে লেখা, ‘প্রেসিডেন্সিতে সরস্বতী পুজো হচ্ছে, সকলের আমন্ত্রণ রইল।’ উদ্যোক্তা হিসাবে সেখানে লেখা প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্রছাত্রী এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ইউনিট।
কিন্তু দেখা যায় জেদ ধরেও নিরস্ত্র হতে হয় ছাত্র পরিষদকে। কারণ প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ যেখানে ‘পুজো করে দেখিয়ে দেব’ বলে চ্যালেঞ্জ নেয়, সেখানে টিএমসিপির রাজ্য সম্পাদক সুপ্রিয় চন্দ পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যের সঙ্গে এ সব মানায় না। আমি চাই না কেউ জেদ করে বসে থাকুক।’
এতকিছুর পর হঠাৎ বিশব্বিদ্যালয়ের হোস্টেল চত্বরে ইফতার পার্টির আয়োজন দেখে সমালোচনা উঠে এসেছে একাধিক মহল থেকে। ইরফান সিদ্দিকী নামে এক ব্যক্তির ফেসবুক পোস্ট থেকে এই ইফতারের ছবি ভাইরাল হয়। সেই পোস্টে একাধিক কমেন্ট আসে। তবে এই ঘটনার গুজব ছড়ানোর দাবি করে এক ব্যক্তি লেখেন, ‘হিন্দ হোস্টেলে পুজো আর ইফতার দুটোই হয়, সব সময়ই হয়। ডিসপিউটটা কাম্পাসের মধ্যে পুজো করা নিয়ে হয়েছিল। হোস্টেলে আগাগোড়াই পুজো হয়, ইফতার হয়। এতকাল হয়ে এসেছে আগামীতেও হবে। ভুয়ো খবর ছড়াবেন না!’