জোর করে লালকেল্লা চত্বরে প্রবেশের চেষ্টা, দিল্লি পুলিশের জালে ৫ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী

Published on:

Published on:

Illegal Immigration from Bangladesh Detained Near Red Fort

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ স্বাধীনতা দিবসের আগে রাজধানী দিল্লিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বেআইনিভাবে ভারতে বসবাস (illegal Immigration) করা আরও পাঁচ জন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা জোর করে লালকেল্লায় প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন।

লালকেল্লায় ঢোকার চেষ্টায় (illegal Immigration) ধৃত ৫ বাংলাদেশি

দিল্লি পুলিশ মঙ্গলবার জানায়, ধৃত পাঁচজন ৩-৪ মাস আগে বেআইনিভাবে ভারতে ঢুকেছিলেন এবং শ্রমিকের কাজ করছিলেন। তাঁদের প্রত্যেকের বয়স ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। পুলিশ আরও জানায়, নিরাপত্তার দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ স্থান লালকেল্লায় ঢোকার চেষ্টা করার সময় তাঁদের আটক করা হয়।

বর্তমানে দিল্লি-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বেআইনি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী (illegal Immigration) নাগরিকদের বিরুদ্ধে চলছে ধরপাকড়। এই নিয়ে বেশ গরম হাওয়া বইছে দেশের রাজনীতিতে। কিছুদিন আগেই দিল্লির অশোক বিহার এলাকা থেকে ১৮ জন বাংলাদেশি গ্রেফতার হয়, যাঁদের মধ্যে ছিলেন ৫ জন রূপান্তরকামী। তাঁদের কাছ থেকে আইএমও অ্যাপ চালু থাকা সাতটি স্মার্টফোন উদ্ধার হয়, যেগুলো বাংলাদেশে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত হতো।

এছাড়া, ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পরও যারা ভারতে থেকে গিয়েছেন, তাঁদেরও ধরা হচ্ছে। এরকমই ৪ জন বাংলাদেশিকে কয়েকদিন আগে দক্ষিণ-পশ্চিম জেলার অপারেশন সেল আটক করেছে। এর আগেও বহুবার দিল্লিতে অবৈধ বাংলাদেশি নাগরিকদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মে মাসেই ১২১ জন অনুপ্রবেশকারীকে আটক করা হয়, যাঁরা প্রায় তিন বছর ধরে এ দেশে বসবাস করছিলেন।

Illegal Immigrants from Bangladesh Detained Near Red Fort

আরও পড়ুনঃ মেডিক্যাল কলেজ বেড়েছে, আসনও বেড়েছে, তবু ভর্তি হচ্ছে না পড়ুয়ারা! কেন?

বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী (illegal Immigration) নিয়ে ইতিমধ্যে সরগরম দেশের রাজনীতি। কেন্দ্র ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের মধ্যে এই নিয়ে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব লেগেই রয়েছে। অনুপ্রবেশ ও বেআইনি বসবাস জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে। এরমধ্যে স্বাধীনতা দিবসের মতো গুরুত্বপূর্ণ দিনের আগে দিল্লিতে এই ধরনের অনুপ্রবেশ নিরাপত্তার দিক থেকে চিন্তার ভাঁজ ফেলছে কেন্দ্র সরকারের কপালে। সূত্রের খবর, দিল্লি পুলিশ ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি এই বিষয়ে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করছে।