বাংলা হান্ট ডেস্ক : গত রবিবার থেকেই সোশ্যাল মিডিয়া কাঁপিয়ে রেখেছেন সঙ্গীত শিল্পী ইমন (Iman Chakraborty)। কার্যত তার একটা পোস্টেই তোলপাড় ধরিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)। এরপর গত সোমবার লাইভও (Facebook Live) করেন এই স্বনামধন্য গায়িকা। তিনি জানান, এই সমস্যা তার একার নয় বরং গোটা লিলুয়াবাসীর (Liluah) সমস্যা। যে কারণে এলাকার প্রতিটি মানুষকেই আওয়াজ তোলার জন্য আবেদনও জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জন্মসূত্রে ইমন লিলুয়ার বাসিন্দা। সেখানেই তার বেড়ে ওঠা এবং বর্তমান বাসস্থানও। লিলুয়ার চটপাড়া অটোস্ট্যান্ডের কাছে তার বাড়ি। একেবারেই রাস্তার উপরেই ইমনের বাড়ি। তবে বিগত কয়েক বছর ধরেই এই এলাকাটি রীতিমত ভ্যাটে পরিণত হয়েছে। প্রথমদিকটা একটা নোংরা ফেলার গাড়ি থাকলেও এখন আর সেই গাড়িটাও থাকেনা।
ইমন জানিয়েছেন, এখন তো নোংরা ফেলার গাড়িটাও আসেনা। যে কারণে এইসব নোংরা আবর্জনা সব শিল্পীর বাড়ির সামনেই ফেলে দিয়ে যায়। এমনকি ওখানে যে খাবার জলের কল আছে তার অবস্থাও তথৈবচ। এইদিন ইমন তার লাইভে এসে বলে, ‘আমি কোনও পলিটিক্যাল পার্টির লোক নই। কোনও জনপ্রতিনিধিও নই। সাধারণ একজন মানুষ। তবে যারা দায়িত্বে রয়েছেন তারা গুড ফর নাথিং। আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি কোনও কাজের নন তারা।’
গায়িকার সংযোজন, ‘আমাদের ওখানকার এলাকার যারা দায়িত্বে রয়েছেন, তারা ফোন ধরার প্রয়োজন মনে করেন না। আমারও মানসিকতা নেই তাদের সঙ্গে কথা বলার। তাদের বসন্ত উৎসবের মঞ্চে ডাকলে আসেন, ফুল নেন চলে যান। ওইভাবেই তারা বোঝান যে আমাদের সঙ্গে আছেন।’ এই প্রথম নয়, এর আগেও এই বিষয়ে সোচ্চার হয়েছেন ইমন। তবে কোথাও কোনও সুরাহা না দেখে রবিবার সকাল সকাল মদন মিত্রের নম্বরে ডায়াল করেন তিনি।
ইমন বলেন, ‘সোমবার সকালেই আমায় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় মেসেজ করেন এবং বলেন, যে যত দ্রুত সম্ভব আমি ব্যবস্থা করছি। মদনদা-কল্যানদা বরাবরই আমাকে যথেষ্ট স্নেহ করেন। এবং আমার যেকোনও বিপদে তারা পাশে দাঁড়ান। তবে আমার প্রশ্ন, যারা এখানকার দায়িত্বে রয়েছে তারা কেন এই দায়িত্ব সামলান না।’ ইমনের এই পদক্ষেপের বহুল প্রশংসা জানিয়েছেন সকলে। কারণ যেখানে সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলার ক্ষমতা নেই সেখানে জনপ্রতিনিধির কাজ নিয়ে প্রশ্ন তোলার সাহস দেখিয়েছেন ইমন। গায়িকার কথায়, ‘আমি দমবার পাত্রী নই। আমি এর শেষ দেখে ছাড়ব। আমার যতটুকু ক্ষমতা আছে সেটা দিয়েই এই লড়াই আমি লড়ব।’