বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পাকিস্তানের (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan) কোনও তথ্য ছাড়াই যা খুশি তাই বলে দেন। আর এবার সেই কারণেই ওনাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চরম ট্রোল শুরু হয়েছে। ইমরান খান একটি সাক্ষাৎকারে দাবি করেন যে, ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) ইজরায়েল যাত্রা সেরে দেশে ফেরার পর জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দেন।
না জেনে শুনে এমন আজগুবি দাবি করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এটা জানেন না যে, নরেন্দ্র মোদী ২০১৭ সালের জুলাই মাসে ইজরায়েলের যাত্রা করেছিলেন। আর জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তোলা হয় ২০১৯ সালের আগস্ট মাসের তারিখ।
ইমরান খানের এই সাক্ষাতকারের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে আর সেখানে ওনাকে নিয়ে তুমুল বিদ্রূপও করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইজরায়েল যাত্রায় জম্মু কাশ্মীর নিয়ে রণনীতি তৈরি করেন আর ফিরে এসে কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার ঘোষণা করেন। কিন্তু আসল সত্য হল, প্রধানমন্ত্রীর ইজরায়েল যাত্রার দুই বছর পর জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তোলা হয়।
Almost 2 yrs & one month long duration b/w PM @narendramodi ‘s July 17 visit to Israel and Aug 19 repeal of 370; but for @ImranKhanPTI – so used to writing alternate history- 25 months difference is immediately thereafter!
Kya namoona chuna hai @OfficialDGISPR ne! pic.twitter.com/J3Mw8AJJjf
— Alok Bhatt (@alok_bhatt) October 11, 2021
ইমরান খান সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেন যে, ভারত আর ইজরায়েলের বন্ধুত্ব অনেক গভীর। ওই সাক্ষাৎকারেই ইমরান খান পাকিস্তান ক্রিকেট নিয়েও কথা বলেন। তিনি এও বলেন যে, বিসিসিআই বিশ্বের সবথেকে ধনী ক্রিকেট বোর্ড। তিনি বলেন, ‘এই সময় সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল টাকা। ভারত সবথেকে ধনী বোর্ড। আর এই কারণেই ভারতের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কোনও দেশই হিম্মত দেখাবে না। ইংল্যান্ড যেমন পাকিস্তানের সঙ্গে করেছে, তেমন কেউ ভারতের সঙ্গে করতে পারবে না।”
ইমরান খান বলেন, ‘শুধু খেলোয়াড়দেরই না, ভারতীয় বোর্ড বিভিন্ন দেশের বোর্ডদের টাকা দেয়। এই কারণে ভারতই গোটা ক্রিকেটকে কন্ট্রোল করে। তাঁদের উপরে বলার মতো কেউ নেই। কারও সাহস হয়না।”
ইমরান খান বলেন, ‘আমার হিসেবে ইংল্যান্ড ভাবে পাকিস্তানের মতো দেশের সঙ্গে খেলে তাঁদের উপর দয়া করে তাঁরা। এর একটাই কারণ, সেটা হল টাকা। ইমরান খান বলেন, ‘আমি পাকিস্তান আর ইংল্যান্ডের ক্রিকেট সম্পর্ক বাড়তে দেখেছি। কিন্তু তাঁরা এই কাজ করে নিজেদের সম্মান ডুবিয়েছে।” উল্লেখ্য, টি-২০ বিশ্বকাপের আগে ইংল্যান্ড পুরুষ দলের পাকিস্তানে গিয়ে খেলার কথা ছিল। এছাড়াও ইংল্যান্ডের মহিলা টিমেরও পাকিস্তানে গিয়ে খেলার কথা ছিল। কিন্তু নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে তাঁরা সফর রদ করে দেয়।