একশন মুডে বাংলাদেশ সরকার, ৭ টি জাহাজে চাপিয়ে ১৬৪২ জন রোহিঙ্গাকে পাঠানো হল বিপদজ্জনক নির্জন দ্বীপে

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ শুক্রবার আবারও বাংলাদেশ (bangladesh) থেকে ১৫০০ জন রোহিঙ্গা (rohingya) ভাসান চর নামক একটি নির্জন দ্বীপে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর সেখানে আরও অনেককে পাঠানো হবে বলেও জানা গিয়েছে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এই বিষয়ের প্রতিবাদ করলেও, বাংলাদেশ সরকার কোনকিছুতেই কর্ণপাত করেনি।

ভাসান চর দ্বীপে রোহিঙ্গাদের পাঠানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। ইতিমধ্যেই ৭ টি জাহাজে করে ১৬৪২ জন রোহিঙ্গাকে এবং ২ টি অন্য জাহাজে খাবার এবং পানীয় সেখানে পাঠানো হয়ে গিয়েছে। প্রায় ১ লক্ষ মানুষকে সেখানে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। তবে এবিষয়ে বাংলাদেশ সরকার জানিয়েছে, যারা যেতে ইচ্ছুক, শুধুমাত্র সেই সকল রোহিঙ্গাকেই এই অঞ্চলে পাঠানো হচ্ছে। ২০ বছর আগে এই ভাসান চর দ্বীপের খোঁজ মেলে এবং সেটি সম্পূর্ণ জল দ্বারা বেষ্টিত একটি দ্বীপ।

2017 10 17t042302z 1996558237 rc136d243e00 rtrmadp 3 myanmar rohingya bangladesh

বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থাগুলি দাবি করেছে, এই জনশূণ্য দ্বীপে প্রায়শই বন্যা এবং ঘূর্ণিঝড়ের মত প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা যায়। এদিকে আবার বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী আবদুল মোমেন জানিয়েছেন, এই দ্বীপে কাউকেই জোর করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না। ইচ্ছুক ব্যক্তিদেরই নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

এই বিষয়ে ১৮ বছরের জন্নত আরা সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেছেন, ‘পুলিশ আমার বাবাকে গ্রেফতার করে মারধর করে প্রথমে। এমনকি বন্দুক দেখিয়ে হুমকি দিয়ে বলেছে- চরে না গেলে এখানেই মৃত্যুর সম্মুখীন হতে হবে। প্রাণের ভয়ে বাবা, মা আমি ভাসান চর দ্বীপে যাই’।

অন্য এক রোহিঙ্গা মহিলা খুলসুমা জানিয়েছেন, ‘প্রথমে আমাদের জোর করে ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে আসে ওঁরা। তারপর সেখান থেকে ভাসান চর দ্বীপে নিয়ে যাচ্ছে। আমার মেয়ের স্বামীকে অত্যাচার করেছে বলে শুনেছি। নাতি নাতনিরা কান্নাকাটি করছে, ওদের ছেড়ে দিলে ভালো হয়’।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর