বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনার ত্রাসে ভীত গোটা দেশ। এই মুহূর্তে নিজেদের জীবন বিপন্ন করে যারা দেশের সেবায় নিজেদের সঁপে দিয়েছে তারা হলো স্বাস্থ্যকর্মী। সংক্রামিত ব্যক্তিদের নিজের হাতে সেবা শুশ্রূষা করে সুস্থ করে তুলছেন তারা। তারা এখন মানুষের কাছে পরিত্রাতা। কিন্তু সোমবার এক অমানবিক মহিলা কনস্টেবলের হাতে নিগৃহীত হলেন এক নার্স। চন্দননগর (Chandannagar) মহকুমা হাসপাতালে কর্মরতা ওই নার্স রাতের ডিউটিতেই যোগ দিতে আসছিলেন। এমন সময়েই ঘটে এই অমানবিক ঘটনা। অভিযোগ, মাঝরাস্তায় এক লেডি কনস্টেবলের সাথে বাদানুবাদ চলাকালীন ওই মহিলা কনস্টেবল সপাটে নার্সের গালে একটি চড় কষিয়ে দেন।
সোমবার রাত ৮টা নাগাদ সিঙ্গুর থেকে স্কুটি করে হাসপাতালে ডিউটিতে আসছিলেন ওই নার্স। সঙ্গে ছিলেন তাঁর হবু স্বামী। হাসপাতালের অদূরেই চন্দননগর থানার পুলিশ তাঁর স্কুটিকে আটকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। ওই তরুণী নিজেকে চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালের নার্স বলে পরিচয় দেন। স্কুটিতে লাগানো স্টিকারও দেখান। তিনি হাসপাতালে নাইট ডিউটিতে যোগ দিতে যাচ্ছেন বলেও পুলিশকে জানান। তিনি এও বলেন, “প্রয়োজনে হাসপাতালে ফোন করে আমার পরিচয় জেনে নিতে পারেন।” কিন্তু নাছোড়বান্দা মহিলা কনস্টেবল তা মানতে নারাজ। এরপর ওই নার্স বলেন, “আপনি যদি ফোন না ধরতে চান তাহলে শুধু শুধু অপদস্থ করার অর্থ কী?” এরপরই দু’জনের মধ্যে তীব্র বচসা শুরু হয়ে যায়। ওই মহিলা কনস্টেবল তাঁর ক্ষমতা জাহির করতে নার্সের (Nurse) গালে সপাটে চড় কষিয়ে দেন। রীতিমতো অমানবিকভাবে ওই নার্স ও তার হবু স্বামীকে আটক করে চন্দননগর থানায় নিয়ে আসা হয়। খবর দেওয়া হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। হাসপাতাল সুপার চন্দননগর থানায় ছুটে আসেন। তারপরই দু’জনকে ছাড়া হয়।
রাতের অন্ধকারে চরম অমানবিকএই ঘটনার দৃশ্য এক ব্যক্তি মোবাইলে ক্যামেরাবন্দি করেন। তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এদিকে, ওই নার্স এই ঘটনার পরই রীতিমতো মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। সাধারণ মানুষও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। এ বিষয়ে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir) জানান, তিনি বিষয়টি তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।ক মহৎ কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকা মানুষ আইনের রক্ষাকর্তার কাছে ডিউটিতে যাওয়ার সময় চড় খাচ্ছে। এই ঘটনায় তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে চারিদিকে।