বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অবশেষে সম্মতি দিল রেল। নতুন বছরেই ভাঙা হচ্ছে জীর্ণ টালা ব্রিজ। পুজোর সময় যানজট এড়াতে টালা ব্রিজ ভাঙার সিদ্ধান্ত বাতিল করে নবান্ন। সে সময়ই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, নতুন বছরের শুরুতেই টালা ব্রিজ সংস্করণের কাজ শুরু করা হবে । কিন্তু রেলের সমর্থন না পাওয়ায় থমকে ছিল সবটাই। নতুন ব্রিজের নক্সা নিয়ে আপত্তি ছিল রেলের। পূর্ব রেলের মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে এই নিয়ে বৈঠক হয়। সেখানে আপত্তি উঠিয়ে নবান্নের সিদ্ধান্তকে মান্যতা দিল রেল। রেল ও রাজ্যের পূর্ত দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হবে।
টালা ব্রিজ ভাঙার সময় গাড়ি যাতায়াতের জন্য বিকল্প পথ হিসাবে ব্যবহার করা হবে চিত্পুর রেল ইয়ার্ড লেভেল ক্রসিং। প্রায় ১৪ কোটি টাকা এর জন্য রাজ্যের তরফে রেলকে দেওয়া হবে জানানো হয়েছে। রাজ্যের থেকে রেল তিনদিনের সময় চেয়ে নিয়েছে। সমস্ত সিদ্ধান্ত দিল্লিতে রেলমন্ত্রকে জানানো হবে। সেখান থেকে চূড়ান্ত অনুমোদন মিললেই বিকল্প পথ হিসাবে চিত্পুর রেল ইয়ার্ড লেভেল ক্রসিং ব্যবহার করা যাবে।
পাবলিক ভেহিকেল বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, ৩ জানুয়ারি মধ্যরাত থেকে টালা ব্রিজ বন্ধ হয়ে যাবে। পরিবর্তিত করা হয়েছে বাস চলাচলের রুট। ৪ জানুয়ারি সকাল থেকে ব্রিজ বা ব্রিজ সংলগ্ন রাস্তার ৪২টি বাসরুট বিকল্প পথে চলবে।
ব্যারাকপুরের-কলকাতাগামী সমস্ত বাস বি টি রোড থেকে চিড়িয়ামোড় হয়ে দমদম সেভেন ট্যাঙ্ক- নর্দার্ন এভিনিউ হয়ে পাইকপাড়া মিল্ক কলোনি হয়ে বেলগাছিয়া সেতু দিয়ে শ্যামবাজারের রাস্তা ধরবে।
আবার কলকাতা থেকে ব্যারাকপুরমুখী বাস শ্যামবাজার থেকে ভূপেন বোস এভিনিউ ধরে রাজবল্লভ পাড়ার পর লক গেট ব্রিজ ধরে চুনিবাবু বাজার চিড়িয়া মোড় হয়ে বি টি রোডে গিয়ে উঠবে।