ভারতের অনন্য গ্রাম! যেখানে ৩২ একর জমির মালিক হল বানরেরা, কারণ জানলে চমকে উঠবেন

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের চারপাশে এমন কিছু ঘটনা ঘটে যেগুলি রীতিমতো অবাক করে দেয় সবাইকে। এমনকি, ওই সব ঘটনাগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যও জানেন না অনেকেই। এমতাবস্থায়, বর্তমান প্ৰতিবেদনে আমরা আপনাদের কাছে এমন একটি চমকপ্রদ বিষয়ের প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব যা কার্যত অবিশ্বাস্য মনে হবে সবার। মূলত, আজকে একটি গ্রাম সম্পর্কে আমরা জানাবো। যেটি মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) ওসমানাবাদ জেলায় অবস্থিত।

বানরদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে জমি: জেনে অবাক হবেন যে, উপলা নামের ওই গ্রামটিতে স্থানীয় বাসিন্দারা ৩২ একর জমি বরাদ্দ রেখেছেন বানরদের জন্য। হ্যাঁ, শুনে অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটা কিন্তু একদমই সত্যি। মূলত, ওই গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা বানরদের খুব ভালোবাসেন। যার কারণে তাঁরা ওই বিপুল পরিমাণ এলাকা শুধুমাত্র বানরদের জন্যই বরাদ্দ করেছেন।

   

In this village 32 acres of land are owned by the monkeys

বছরের পর বছর ধরে উপলা গ্রামে বানরদের সম্মান করার রীতি চলে আসছে। শুধু তাই নয়, যখনই ওই গ্রামে থাকা বাড়ির বাইরে বানররা আসে, স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের অতিথির মতো খাবার পরিবেশন করেন। শুধু তাই নয়, বিয়ে বা কোনো বিশেষ উৎসবেও বানরদের খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।

আরও পড়ুন: আর মিলবে না ট্রেনের টিকিট, বন্ধ হয়ে গেল কলকাতার এই বুকিং অফিস! সিদ্ধান্ত রেলের

বিয়েতে বানরদের আমন্ত্রণ জানানো হয়: কথিত আছে, আগেকার দিনে উপলা গ্রামে বিবাহের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হলে বানরদেরও নিমন্ত্রণ করা হত। শুধু তাই নয়, বিয়েতে আগত অতিথিরা বানরদের জন্য খাবার ও পানীয়ের সামগ্রী নিয়ে আসতেন এবং তাদের সেগুলি উপহারও দিতেন। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে উপলা গ্রামে বানরের সংখ্যা দিন দিন কমে যাওয়ায় বর্তমানে সেখানে মাত্র ১০০ বানর রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: ক্ষতি আম্বানির, ধনকুবেরদের তালিকায় বিরাট লাফ আদানির! হু হু করে বাড়ল সম্পদের পরিমাণ

এমতাবস্থায়, বানরের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য স্থানীয় বাসিন্দারা ওই গ্রামে ৩২ একর জমি বানরদের উদ্দেশ্যে বরাদ্দ করে তাদের থাকার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা করে দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, ওই ৩২ একর জমিতে, মহারাষ্ট্রের বন বিভাগের কর্মীরা গাছ লাগিয়েছেন। যার কারণে এই এলাকায় সবুজের পরিমাণও বেড়েছে। তবে, উপলা গ্রাম পঞ্চায়েতে বানরদের জন্য থাকা ওই জমি সংক্রান্ত কোনো রেকর্ড নেই। যেহেতু, ওই গ্রামবাসীরা বানরদের সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে মনে করেন তাই তাদের জন্যই রয়েছে ওই এলাকা।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর