বাংলা হান্ট ডেস্ক : ইতিমধ্যেই বেজে গেছে লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election) ডঙ্কা। বছর ঘুরলেই শুরু হবে ভোট পর্ব। ভোট বৈতরণী পার করার জন্য প্রতিটা দল তাদের রণনীতি সাজাতে ব্যস্ত। তার আগেই ফের একবার CAA ইস্যু উস্কে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তেইশ মিনিটের বক্ত্যতার মধ্যেই স্পষ্ট করে দিলেন, বাংলার শাসককে রুখতে ঠিক কোন বিষয়গুলোর ওপর জোর দিচ্ছে ‘হাইকম্যান্ড’।
CAA আটকানোর ক্ষমতা বাংলার সরকারের নেই
এইদিন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পছন্দের জায়গা অর্থাৎ ধর্মতলায় দাঁড়িয়ে অমিত শাহ বলেন, CAA আটকানোর ক্ষমতা বাংলার সরকারের নেই। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির প্রতিশ্রুতি ছিল, মতুয়াদের নাগরিকত্ব আইন পাস করানো হবে। ক্ষমতায় ফিরে সেই আইন পাসও করেছিলে নমোর সরকার।
করোনা কালের পর থেকেই হিমঘরে CAA
যদিও তারপর থেকেই গোটা দেশজুড়ে ওঠে প্রতিবাদের ঝড়। মাঝে করোনা মহামারীর কারণে আইন কার্যকর তো হয়নি উলটে তা চাপা পড়ে গেছে হাজারও অজুহাতের নিচে। এরপর ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় ভোটের প্রচারে এসে CAA কার্যকর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন অমিত শাহ। তারপরেও যেমনকার তেমনই থেকে গেছে পরিস্থিতি। যে কারণে ক্ষোভ বাড়ছে মতুয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে।
আরও পড়ুন : নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন পেলেন পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময়, যেতে পারবেন না কলকাতার বাইরে
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ অমিত শাহের
আর তাই এবার ২০২৪ এর লোকসভা আগে আশ্বাস দিলেন বঙ্গবাসীকে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানালেন, “আমি এই সভা থেকে বলে যাচ্ছি CAA হল একটি আইন। একে কেউ রুখতে পারবে না। সকল হিন্দু ভাই বোনের দেশের উপর অধিকার রয়েছে।” রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বলছে এই CAA-শব্দবন্ধ দুটির মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে বিজেপির তুরুপের তাস। বাংলার মানুষকে বিজেপি এটা বোঝাতে মরিয়া যে, বঙ্গে গেরুয়ার দাপট অব্যাহত।
CAA দিল্লির আইন
অন্যদিকে খোদ মুখ্যমন্ত্রীও এই ইস্যুকে হাতিয়ার করেই এক শ্রেণির ভোটব্যাঙ্ককে সুনিশ্চিত করার প্রয়াস চালিয়েছেন। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বঙ্গে এই আইন প্রণয়ন হবেনা। মমতার এই বক্তব্যকে খুঁচিয়ে অমিত শাহ এইদিন বলেন, ‘রাজ্যে অনুপ্রবেশে উসকানি দিচ্ছে তৃণমূল। সেকারণেই CAA কার্যকর করতে চান না মমতা। কিন্তু এটা দিল্লির আইন। চেষ্টা করলেও এটাকে রুখতে পারবেন না।’
আরও পড়ুন : ‘লোকসভায় মমতাকে সাসপেন্ড করুন’, বিধানসভা থেকে নির্বাসিত হতেই পালটা তোপ দাগলেন শুভেন্দু
বাংলা অনুপ্রবেশকারী সমস্যা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অসমে বিজেপি সরকার হয়েছে। সেখানে অনুপ্রবেশ বন্ধ হয়েছে। আর এখানে ভুয়ো আধার কার্ড তৈরি করা হয়েছে। যেখানে ৩০ লক্ষ ভুয়ো অনুপ্রবেশ ঘটে সেখানে বিকাশ সম্ভব?’ সর্বপরি, ধর্মতলা থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর চ্যালেঞ্জ, CAA অর্থাৎ সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন গোটা দেশের আইন।