বাংলা হান্ট ডেস্ক: ইতিমধ্যেই আয়কর রিটার্ন (Income Tax) দাখিলের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। মূলত, এবার আয়কর দাখিল সংক্রান্ত একাধিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন পরিবর্তন আনা হয়েছে। এদিকে, আয়কর ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনার সাথে সাথে আয়কর স্ল্যাবেও পরিবর্তন এসেছে। পাশাপাশি নতুন ট্যাক্স ব্যবস্থায় আয়কর ছাড়ের সীমাও বাড়ানো হয়েছে।
এছাড়াও, সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, সরকার আয়কর রিটার্ন দাখিলের ডেডলাইনের বিষয়টিও সামনে এনেছে। এমতাবস্থায়, এই বিষয়টি অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। নাহলে, আপনি যদি ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের জন্য আয়কর রিটার্ন (ITR) ফাইল করার সময়সীমা পার করে ফেলেন সেক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।
এমতাবস্থায় জানিয়ে রাখি যে, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ তারিখ হল আগামী ৩১ জুলাই। এদিকে, ২০২৩-২৪-এর নতুন অর্থবর্ষ গত ১ এপ্রিল থেকেই শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য যে, আয়কর রিটার্ন সময়মতো দাখিল করা প্রত্যেক করদাতার একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হিসেবে বিবেচিত হয়।
ট্যাক্সেবল ইনকাম: জানা গিয়েছে, আপনি যদি ৩১ জুলাই পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে ব্যর্থ হন এবং তারপরে যদি সরকার কর্তৃক আয়কর রিটার্ন দাখিলের তারিখ বাড়ানো না হয় সেক্ষেত্রে আপনাকে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য জরিমানা দিতে হবে। অর্থাৎ, যদি আপনার আয় ট্যাক্সেবল হয় এবং আপনি ৩১ জুলাইয়ের পরে আপনার আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন, তাহলে আপনাকে জরিমানা দিতে হবে।
আয়কর রিটার্ন: মূলত, এমন অনেকেই থাকেন যাঁরা আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রক্রিয়াটিকে জটিল মনে করে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যান। এমতাবস্থায়, যেহেতু ITR সরকারের কাছে দাখিল করা হয় এবং আইনি প্রমাণ হিসাবে ব্যবহৃত হয় সেহেতু আয়কর রিটার্ন দাখিল আইনগত দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হয়। পাশাপাশি, সঠিকভাবে আয়কর রিটার্ন দাখিল করা একজন নাগরিকের নৈতিক কর্তব্যও বটে।