বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি রাজ্যে (West bengal) করোনা (COVID-19) পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এসেছিলেন কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক দল। তারা ফিরে যাওয়ার পরই ঘন ঘন চিঠি আসতে থাকে রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজিব সিনহার কাছে। অভিযোগ উঠছে ওই চিঠি পাওয়ার পর থেকেই নাকি রাজ্য করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে নড়েচড়ে বসেছে।
কেন্দ্রের প্রশ্ন ছিল করোনা টেস্টের রিপোর্ট আসতে কেন ৭-৮ দিন সময় লাগছে? এমনকি কতজনের নমুনা টেস্টের জন্যই বা পাঠানো হচ্ছে? কেন্দ্রের এই প্রশ্নবাণের পরেই রবিবার রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব বিবেক কুমার জেলাশাসক ও জেলার স্বাস্থ্য অধিকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে করোনা টেস্ট বাড়ানোর নির্দেশ দেন। এমনকি সংক্রমিত স্থানে পুল টেস্টেরও কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, করোনা টেস্টের সংখ্যা দ্রুত বারাতে হবে। স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের দ্বারা ধীর গতিতে করোনা টেস্ট করলে চলবে না।
কিছুদিন আগেই কেন্দ্রের চিঠি পাওয়ার পর মুখ্যসচিব করোনা বিষয়ক বিভি নিষেধের জন্য ১১ দফা গাইডলাইন বেঁধে দিয়েছিলেন। এবং সেখানে ১২ ঘন্টার মধ্যে টেস্টের রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা বলে হয়েছে। আবার হাওড়ার বিভিন্ন করোনা হাসপাতাল পর্যবেক্ষণ করে কেন্দ্রের দল থেকে অপূর্ব চন্দ্র রবিবার রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠান। এবং তারা জানতে চান- কিভাবে করোনা রোগীদের চিকিৎসা করা হচ্ছে, স্ক্রীনিং করা হচ্ছে, এমনকি করোনা সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা কতজনকে টেস্ট করা হচ্ছে ইত্যাদি।
রবিবারও কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা এক ভিডিও কনফারেন্স করেন দেশের সব রাজ্যের মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, ডিজিপি, স্বাস্থ্য সচিব ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের সচিবদের নিয়ে করোনা ভাইরাসের বিষয়ে আলোচনা করেন। এই ভিডিও কনফারেন্সে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, ডিজি শ্রীবীরেন্দ্র, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের প্রধান সচিব মনোজ পন্থ উপস্থিত থাকলেও শরীর খারাপ থাকায় আরজ্যের মুখ্যসচিব কিন্তু অনুপস্থিত ছিলেন।