জয় পেয়েই তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করলেন প্রার্থী

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এদিন কলকাতা পুরসভার নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ পেয়েছে। প্রত্যাশিত ভাবেই ফার্স্টব্য হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিরোধীদের উড়িয়ে দিয়ে একাই ১৩৫ আসন দখল করেছে ঘাসফুল শিবির। অন্যদিকে, ২০১৫-র তুলনায় বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেস খারাপ ফল করেছে।

বিজেপি ৩, কংগ্রেস ও সিপিএম ২টি করে আসন পেয়ে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে। এছাড়াও নির্দল প্রার্থীরা ২টি আসন পেয়েছে। এবারের বুথ ফেরত সমীক্ষায় সিপিএমকে শূন্য আসন দেখালেও, তাঁরা শূন্য হয়নি। বিজেপি আর সিপিএমের মধ্যে এখনও দ্বিতীয় স্থানে থাকা নিয়ে লড়াই চলছে।

অন্যদিকে আবার প্রথমবার নির্বাচনে নেমে জয়ী হয়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করলেন নির্দল প্রার্থী পূর্বাশা নস্কর। কলকাতা পুরসভার ১৪১ নম্বর ওয়ার্ডে নির্দল হিসেবে জয়ী হয়েছেন তিনি। আর সেই জয়ের পরেই তৃণমূলে যেতে চান বলে জানালেন পূর্বাশা।

রাজনীতির সঙ্গে পূর্বাশার পরিবারের কারোরই কোনও যোগ নেই। স্নাতক হয়ে বাড়িতেই বসেছিলেন পূর্বাশা। এরপর পাড়ার সবাই মিলে তাঁকে পুরভোটে দাঁড়ানোর জন্য জোরাজুরি করতে থাকে। পাড়ার লোকের দাবিতে ভোটে দাঁড়িয়ে প্রথমবারেই জয় হাসিল করে নেন তিনি। ৯ নম্বর গণনার পর পূর্বাশাকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে জয়ী ঘোষণা করা হয়।

জয় পাওয়ার পর সাংবাদিকরা যখন পূর্বাশাকে জিজ্ঞাসা করেন যে, আপনার আগামী পদক্ষেপ কী? তৃণমূলে যোগ দেবেন নাকি? তখন পূর্বাশা নিজেই সাফ জানিয়ে দেন যে, ‘তৃণমূলে যোগ দেব।” পূর্বাশা এও জানান, ছোট থেকে রাজনীতিতে আসার ইচ্ছে ছিল। আর আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থকও। তবে এর আগে কোনও পার্টির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। পাড়ার লোক ভোটে দাড় করিয়েছিল। এটা জনতার জয়। আমার জয় মানে সবার জয়।

purbasha 1

যদিও, পূর্বাশার জয় এতটা সহজ ছিল না। কারণ গণনায় পূর্বাশা এগিয়ে যাওয়ায় তাঁকে গণনা কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কিছুক্ষণ গণনা থমকে গেলেও ফের শুরু হয় ভোট কাউন্টিং।

Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর