বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভূমিকম্পের (Earthquake) ফলে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে তুরস্ক ও সিরিয়া। ভূমিকম্পের ফলে এই দুই দেশের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়েছে। হাজার হাজার মানুষ হারিয়েছেন স্বজন। গত সোমবার ৭.৮ মাত্রার কম্পনের জেরে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে এই দুই দেশের বহু ইমারত।
এই দুই দেশের ভূমিকম্পের পর সতর্ক ভারতও (India)। এদেশেও এমন বেশ কিছু এলাকা রয়েছে যা ভূমিকম্প প্রবণ। ভূ বিজ্ঞানীরা মনে করছেন অ্যানাটোলীয় এবং আরবীয় টেকটনিক পাতের সংঘর্ষের কারণেই ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে তুরস্ক এবং সিরিয়া। ন্যাশনাল ডিজ়াস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (এনডিএমএ) ব্যাখা দিয়ে বলেছে, প্রবল ভাবে ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা হল ভারতীয় উপমহাদেশের হিমালয়ের বিস্তীর্ণ অঞ্চলও। এইসব জায়গায় রিখটার স্কেলে ৮-এর বেশি মাত্রা পর্যন্ত হতে পারে ভূমিকম্প।
এনডিএমএ জানিয়েছে, ভারতের প্রায় ৫৯% এলাকায় ঝুঁকি রয়েছে ভূমিকম্পের। সিসমিক জোনিং ম্যাপ অনুযায়ী, ভারতকে বিভক্ত করা হয়েছে চারটি সিসমিক জ়োনে বা ভূমিকম্প প্রবণ এলাকায়। এগুলির মধ্যে জোন ৫ সব থেকে ঝুঁকিপূর্ণ ও জোন ২ কম ঝুঁকিপূর্ণ। জোন ৫-এর অধীনে পড়ে দেশের প্রায় ১১ শতাংশ ভূখণ্ড। ১৮ শতাংশ ভূমি জোন ৪-এর অধীনে রয়েছে। ৩০ শতাংশ ভূমি জোন ৩-এ রয়েছে। জোন ২-এ রয়েছে বাকি এলাকা।
গুজরাতের ভূজে ভূমিকম্পের প্রবণতা বেশি। ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকাগুলির মধ্যে অন্যতম পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী রাজ্য বিহারের দ্বারভাঙাও। অসমের গুয়াহাটি, জোরহাট, সাদিয়া এবং তেজপুর ভূমিকম্প প্রবণ। এ ছাড়াও ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকার মধ্যে রয়েছে মণিপুরের ইম্ফল, নাগাল্যান্ডের কোহিমা, এবং হিমাচল প্রদেশের মান্ডি। এনডিএমএ এই ধরনের উদ্বেগের কথা শুনিয়েছে আন্দামান ও নিকোবরের পোর্ট ব্লেয়ার এবং জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরকে নিয়েও।