Bangla Hunt Desk: আন্তর্জাতিক মহলে ভারত (India) জাপানের (Japan) ঘনিষ্ঠতা ক্রমশই উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে চীনের কাছে। ভারতের সঙ্গে LAC-তে সংঘর্ষের পাশাপাশি ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরে ভারতের কর্তৃত্ব ধীরে ধীরে সংশয়ে ফেলছে জিনপিং সরকারকে। এই পরিস্থিতিতে শান্তি চুক্তি স্থাপন ছাড়া, চীনের আর বাঁচার রাস্তা নেই।
ফোনালাপ দুই দেশের সেনা প্রধানদের
ভারত জাপানের বন্ধুত্বের সম্পর্কে আরও মজবুত করে তুলতে সম্প্রতিকালে ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল এম এম নরভনির সাথে জাপানের সেনার চিফ অফ স্টাফ জেনারেল ইউসা-র আলোচনা সংগঠিত হয়। দুই দেশের সেনাপ্রধান নিজেদের মধ্যে হওয়া কথোপকথনের মাধ্যমে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরে চীনের অবৈধ প্রবেশের বিরুদ্ধে নিজেদের অধিকার কায়েম রাখতে সম্মত হয় তারা। সেইসঙ্গে দুই দেশের সেনাদের মিলিত সংযোগ নিয়েও আলোচনা হয়।
ভারত জাপান সম্পর্ক মজবুত হচ্ছে
জমি মাফিয়া চীনের চোখ রাঙানিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে গোটা বিশ্ব। বর্তমানে তাই চীনকে বাদ দিয়ে জাপান ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব গাড় করতে উদ্যত হয়েছে। পূর্ব চীন সাগরে চীনা যুদ্ধ জাহাজের অবৈধ প্রবেশে অতিষ্ঠ হয়ে, জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ভারতকে ব্যবসায়িক ক্ষেত্র প্রশস্ত করার পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি জানিয়েছিলেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হওয়ার সুবাদে আমি একথা বলতে চাই, যে জাপানের জন্য বিপদের হয়ে দাঁড়িয়েছে চীন। চীন সরকারের ক্ষমতাও আছে এবং তারা সুবিধভোগীও। তাই আমি চাই, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরে জাপানের পাশে দাঁড়াক ভারত। এই হুঁশিয়ারি শুনে চীনের অবস্থা শোচনীয় হতে শুরু করেছে।
আলোচনা হয়েছে দেশ প্রধানদের মধ্যেও
পূর্বেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের মধ্যে আধ ঘন্টা ধরে টেলিফোন মারফত কথোপকথন হয়েছে। বিভিন্ন প্রোজেক্ট নিয়ে দুই দেশের প্রধানদের মধ্যে আলোচনা হয়। দুই দেশের নাগরিকদের সুবিধার্থেও নানা আলোচনা হয়।