বাংলা হান্ট ডেস্ক : শহিদ মিনারে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে ডিএ আন্দোলন (DA Agitation)। এবার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘাত হওয়ার সম্ভাবনাকে পাশ কাটিয়েই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) জনসভার আয়োজন করতে চলেছে তৃণমূলের ছাত্র-যুব শাখা। সেনাবাহিনী শহিদ মিনারে অভিষেকের সমাবেশের অনুমতি দেওয়ায় শনিবার তৃণমূলের ছাত্র-যুব শাখার নেতৃত্ব ময়দানে গিয়ে সমাবেশের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন। কলকাতা পুলিসের কর্তারাও শহিদ মিনারে যান বলে জানা যাচ্ছে।
কিন্তু, এই সময় শহিদ মিনারের একপ্রান্তে ডিএ আন্দোলনকারীদের অবস্থান বিক্ষোভ চলছে জোরকদমে। তাই সমাবেশের সময়ে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে অবস্থানকারীদের যাতে কোনও সংঘাত না হয়, তার জন্য বাড়তি সতর্ক রয়েছে পুলিস প্রশাসন। জানা যাচ্ছে, শহিদ মিনারের মেয়ো রোডের দিকের প্রান্তে সমাবেশের মঞ্চ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য জানান, ‘সেনাবাহিনী বিশেষ কিছু শর্ত দিয়ে এই সভার অনুমতি দিয়েছে। যে দিকে ডিএ আন্দোলনকারীদের অবস্থান চলছে, সেখানে একটি ব্যারিকেড করে দেওয়া হবে। ওই দিক দিয়ে মাঠে প্রবেশের পৃথক রাস্তা করে দেওয়া হবে। এছাড়া শহিদ মিনারে প্রবেশের জন্য চার-পাঁচটি গেট করা হচ্ছে।’
তৃণমূলের ছাত্র-যুব শাখার সমাবেশের জন্য ডিএ আন্দোলনকারীদের অবস্থান বিক্ষোভ সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করে প্রশাসন। কিন্তু অবস্থানকারীরা তা মানতে চায়নি। শনিবার থেকে অনশন কর্মসূচি বন্ধ রাখছেন অবস্থানকারীরা। শহিদ মিনারে এক সঙ্গে দুটি কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া নিয়েই জটিলতা তৈরি হয়। দেরি হয় সেনাবাহিনীর অনুমতি পেতেও। সেই অনুমতি পেয়ে যাওয়ায় তৃণমূলের ছাত্র-যুব শাখা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ২৯ মার্চের সভার প্রস্তুতি জোরকদমে শুরু করেছে।
সেদিনই আবার রেড রোডে আম্বেদকর মূর্তির সামনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরোধিতায় অবস্থানে বসবেন। একই সময়ে ব্লকে ব্লকে তৃণমূল নেতাদের অবস্থানে বসার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে। মমতার অবস্থান কর্মসূচিতে রাজ্যের শাসকদলের প্রথম সারির নেতারা উপস্থিত থাকবেন। একই সঙ্গে অভিষেকের সভাতেও তৃণমূলের সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্বের একাংশ, বিভিন্ন শাখা সংগঠনের নেতৃত্ব থাকবেন বলে জানা যাচ্ছে।