এবার পদ্মার ইলিশ নিয়ে কড়া অ্যাকশন বাংলাদেশের! আর মিলবে না ভারতের বাজারে?

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভোজন রসিক বাঙালির মেনুতে ইলিশের জনপ্রিয়তা বরাবরই তুঙ্গে। তবে এ বছর কি বাঙালি বঞ্চিত হতে চলেছে সাধের ইলিশের স্বাদ থেকে? উৎসব-পার্বণ হোক কিংবা ঘরোয়া খাওয়া-দাওয়া, বিশেষ করে বর্ষার মরশুমে ভারতে, বাংলাদেশের (India-Bangladesh) পদ্মার ইলিশ সহযোগে ভুরিভোজের আনন্দটাই আলাদা।

ভারতে ঢুকবে বাংলাদেশের (India-Bangladesh) ইলিশ?

তবে ভারতে এবার বাংলাদেশের (India-Bangladesh) ইলিশ মিলবে কীনা, তাই নিয়ে চিন্তা বাড়ছে। নিশ্চয়ই ভাবছেন কেন? সূত্রের খবর, বাংলাদেশ সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী পদ্মা ও মেঘনা নদীতে ইলিশ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সেদেশের প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী, এই সময়কালের মধ্যে মাছ ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন ও মজুত সম্পূর্ণ বেআইনি হিসেবে ধরে নেওয়া হবে।

আরোও পড়ুন : পরিকল্পনায় বদল! ভারতের এই “বন্ধু”-কে যুদ্ধবিমান দেবেনা চিন

যদি সরকারি এই নিয়ম কেউ লঙ্ঘন করেন তাহলে তাকে বাংলাদেশ মৎস্য আইনে দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফ থেকে চাঁদপুর জেলার মতলবের ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত এলাকায় মাইকিং করে মৎস্যজীবীদের সতর্ক করার কাজও শুরু হয়েছে।

আরোও পড়ুন : গাড়ির তলায় ‘চাপা’! যাদবপুরের আহত ছাত্রের বাবাকে ফোন শিক্ষামন্ত্রীর! কী কথা হল দু’জনের?

সূত্রের খবর, বাংলাদেশের (Bangladesh) চাঁদপুর সদর উপজেলার আনন্দ বাজার, শহরের টিলাবাড়ি, বড় স্টেশন মোলহেড, পুরান বাজার রনাগোয়াল, দোকানঘর, বহরিয়া, হরিণা ও আখনের হাট এলাকায় অধিকাংশ মৎস্যজীবী ডাঙায় তুলে রেখে দিয়েছেন তাদের মাছ ধরার নৌকা। আবার কেউ কেউ এই সময়টাতে বিকল্প কাজের সন্ধানও শুরু করে দিয়েছেন।

চাঁদপুর জেলার মৎস্য কর্মকর্তা মহম্মদ গোলাম মেহেদী হাসান জানিয়েছেন, জাটকা সংরক্ষণের জন্য জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স নজরদারি চালাবে পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায়। এই সময়টাতে চার মাস ধরে জেলেদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৪০ কেজি করে ভিজিএফ চাল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইলিশ (Ilish) সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সরকারের তরফে প্রতিবছর নির্দিষ্ট সময়কালে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

India-Bangladesh ilish import update.

সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে মেঘনা-পদ্মা নদীতে চলতি বছরের মার্চ ও এপ্রিল মাসে ইলিশ মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ইলিশ মাছের বংশ বৃদ্ধি সুনিশ্চিত করা ও জাটকা রক্ষার্থে বাংলাদেশ প্রশাসনের এহেন সিদ্ধান্ত। প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী, মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম অঞ্চলে জাল বা অন্যান্য সরঞ্জাম ব্যবহার করে মাছ সংগ্রহ করা যাবে না ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর