বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পাকিস্তান (Pakistan) যে কুকীর্তি করা কোনদিনও বন্ধ করবে না, সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। পাকিস্তানি নৌসেনা (Pakistan Navy) দ্বারা ভারতীয় মৎস্যজীবীর হত্যা আর অপহরণের মামলায় এবার ভারত (India) কড়া মনোভাব আপন করছে। পাকিস্তানি নৌসেনার এই কাপুরুষোচিত কাজে বিদেশ মন্ত্রালয় ক্ষোভ জাহির করেছে, অন্যদিকে গুজরাট পুলিশ পাকিস্তানের সামুদ্রিক সুরক্ষা এজেন্সির (PMSA) ১০ জওয়ানের বিরুদ্ধে হত্যা আর হত্যার প্রয়াস করার মামলায় FIR দায়ের করেছে। পাশাপাশি পাকিস্তানি কূটনীতিককে তলব করেছে সরকার।
IPC ধারা ৩০২, ৩০৭ আর ১১৪ এবং অস্ত্র অধিনিয়ম ধারায় পোরবন্দরের মেরিন পুলিশ স্টেশনে FIR দায়ের করা হয়েছে। FIR অনুযায়ী, ১০ অজ্ঞাত PMSA কর্মী জলপরী ফিশিং বোটে ফায়ারিং করে, যার দরুন বোটে থাকা দুই মৎস্যজীবী আহত হন। এই ঘটনায় মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলার এক মৎস্যজীবী শ্রীধর চমরে (৩২) প্রাণ হারান। আর একজন মৎস্যজীবী দিলীপ সোলাঙ্কি আহত হন। বোটের মালিক জয়ন্তী রাঠৌড় পোরবন্দরের থানায় পাকিস্তানি মেরিন কমান্ডোদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন।
দ্বারকার SP সুনীল জোশি জানান, জলপরীতে থাকা GPS ট্র্যাকিং ডিভাইসের মাধ্যমে ফরেনসিক তদন্ত করা হবে। অন্যদিকে, মৎস্যজীবীদের সহাকারি সমিতির সভাপতি জানান, শ্রীধর গত তিন মাস ধরে জয়ন্তী রাঠৌড়ের জলপরী নৌকায় কাজ করত। ওনার দাবি, মহারাষ্ট্র, গুজরাট আর ভারত সরকার এই বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ নিক। উনি এও দাবি করেছেন যে, পাকিস্তানি মেরিনদের এই কাজ যেন আন্তর্জাতিক তদন্তের দায়রায় নিয়ে আসা হয়।
এই ঘটনার পর পাকিস্তানি মেরিনদের আতঙ্কে ভুগছে মৎস্যজীবীরা। তাঁরা সমুদ্রে যেতে ভয় পাচ্ছেন। এর আগেও অনেকবার তাঁরা পাকিস্তানের নিশানায় পড়েছিলেন। অনেকবার তাঁদের নৌকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। আজও গুজরাটের ১২০০-র বেশি নৌকা পাকিস্তান আটকে রেখেছে, এছাড়াও বহু মৎস্যজীবী এখনও পাকিস্তানের জেলে বন্দি অবস্থায় রয়েছেন।