বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার ভারত মহাসাগরে আসল ধামাকা করে দেখাবে ভারত (India)। যেটি সম্পর্কে জানার পর মলদ্বীপের (Maldives) চিনপন্থী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মইজ্জুর “টেনশন” নিশ্চিতভাবে বৃদ্ধি পাবে। শুধু তাই নয়, ভারতের (India) এই পরিকল্পনার মাধ্যমে ভারতীয় সৈন্যদের মলদ্বীপ থেকে বহিষ্কার করা মুইজ্জু পাবেন উপযুক্ত জবাবও। এর পাশাপাশি, ভারত মহাসাগরে চিনের পরিকল্পনাও নস্যাৎ করতে পারবে ভারত।
বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে ভারত (India):
এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ভারত সরকার (India) মলদ্বীপের কাছে দু’টি সামরিক বিমানঘাঁটি নির্মাণের পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। এই বিমানঘাঁটির মধ্যে একটি মলদ্বীপ থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত লাক্ষাদ্বীপের মিনিকয় দ্বীপে নির্মিত হবে। যেখান থেকে ফাইটার এবং ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফট উভয় পরিষেবা শুরু করা যাবে।
আগাত্তি দ্বীপে তৈরি হবে এয়ারফিল্ড: এছাড়াও, লাক্ষাদ্বীপের আগত্তি দ্বীপে থাকা একটি সামরিক সুবিধাকে প্রসারিত করে এয়ারফিল্ড হিসেবে তৈরি করা হবে। যার ফলে, ভারতীয় (India) সামরিক এবং অসামরিক বিমান পরিষেবায় সুবিধা মিলবে। এই প্রসঙ্গে, ডিফেন্সপোস্ট আধিকারিকদের উদ্ধৃত করে জানিয়েছে যে, এই নতুন এয়ারফিল্ড সেনাবাহিনীকে তার নজরদারির ক্ষেত্র প্রসারিত করার এবং ওই এলাকায় একটি সামরিক শক্তি বৃদ্ধি অর্জনের সুযোগ দেবে। ভারতীয় বায়ুসেনা এই প্রকল্পটি সম্পূর্ণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ! ৫৭ জন বাংলাদেশিকে জেলে পাঠাল UAE, হইচই বিশ্বজুড়ে
মুইজ্জুর ভারত বিরোধী পদক্ষেপের জবাব: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু গত বছরের শেষের দিকে মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার সাথে সাথে ভারতকে তার সৈন্য প্রত্যাহার করতে বলেছিলেন। শুধু তাই নয়, চিনের “দাস” মোহাম্মদ মুইজ্জু নির্বাচনী প্রচারের সময়ে “ইন্ডিয়া আউট” ক্যাম্পেন শুরু করেছিলেন। যেখানে তিনি ভারতীয় সেনাদের উপস্থিতিকে মলদ্বীপের সার্বভৌমত্বের জন্য “হুমকি” হিসেবে বিবেচিত করেন। উল্লেখ্য যে, মলদ্বীপে স্থিত ভারতীয় সৈন্যরা ভারত (India) কর্তৃক উপহার দেওয়া ডর্নিয়ার বিমান এবং হেলিকপ্টার পরিচালনা করত।
আরও পড়ুন: রণক্ষেত্র বাংলাদেশে এবার আরও জোরালো আন্দোলন! সরকারকে দেওয়া হল ২৪ ঘন্টা সময়
মুইজ্জু চিনের পথ প্রশস্ত করছেন: প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে মুইজ্জু চিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছেন এবং প্রতিরক্ষা সম্পর্ককেও নতুন আকার দিয়েছেন। মুইজ্জুর সরকার গঠনের পর চিনের গুপ্তচর জাহাজও মলদ্বীপের বন্দরে থামার অনুমতি পেয়েছে। এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক মহলে সন্দেহের জন্ম দিয়েছে। ভারত মহাসাগরে নিজেদের প্রভাব বাড়াতে চিন মালদ্বীপ ও পাকিস্তানকে ব্যবহার করতে পারে বলে আশঙ্কা বাড়ছে। এমতাবস্থায়, মলদ্বীপের কাছাকাছি সামরিক পরিকাঠামো তৈরি করা ভারতকে এই অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান চিনা কার্যকলাপের উপর নিবিড় নজর রাখতে সাহায্য করবে।