চিন সীমান্তে ২৬টি পেট্রোলিং পয়েন্ট হারিয়েছে ভারত, খোদ লাদাখের পুলিস কর্তার রিপোর্ট ঘিরে চাঞ্চল্য

বাংলা হান্ট ডেস্ক : চিন সীমান্তে (China Border) ভারতের অবস্থা মোটেই সুবিধার নয়। এই তথ্যই সামনে এল লাদাখের এক শীর্ষ পুলিস আধিকারিকের রিপোর্টে। লে এবং লাদাখের পুলিস সুপার পি ডি নিত্য (PD Nitya) লাদাখ সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে একটি রিপোর্ট জমা করেছেন দিল্লিতে। যা রীতিমতো ভয়ংকর। তাঁর রিপোর্টে জানা যাচ্ছে, লাদাখ (Ladakh) ফ্রন্টিয়ার এলাকায় এই মুহূর্তে ভারত যথেষ্ট ব্যাকফুটে রয়েছে চিনের থেকে।

পিডি নিত্যা তাঁর রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন, লাদাখ (Ladakh) ফ্রন্টিয়ারে মোট ৬৫টি পেট্রোলিং পয়েন্ট রয়েছে। এর মধ্যে ২৬টি পয়েন্টেরই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে ভারত। ৫ নম্বর পেট্রোলিং পয়েন্ট থেকে ১৭ নম্বর পেট্রোলিং পয়েন্ট, ২৪ নম্বর থেকে ৩২ নম্বর এবং ৩৭ নম্বর পেট্রোলিং পয়েন্ট (Petroling Point) ভারতের নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়ন্ত্রণ নেই। এই পেট্রোলিং পয়েন্টগুলিতে ভারতের নিরাপত্তারক্ষী বা সাধারণ নাগরিক কেউই দীর্ঘদিন যেতে পারেননি। লাদাখের সীমান্তে যে ৩ হাজার ৫০০ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা আছে, তার একটা বড় অংশে এখন ভারতের নিয়ন্ত্রণের বাইরে।

china 2

লে ও লাদাখের পুলিশ আধিকারিকের রিপোর্টে জানা যাচ্ছে, চিন এই এলাকাগুলিতে এখনও পেট্রোলিং করছে। এবং দাবি করছে এই পেট্রোলিং পয়েন্টগুলি তাঁদের দখলে। যার ফলে ভারতের দখলে থাকা এলাকাগুলি বাফার জোনে পরিণত হচ্ছে। এমনকী, ওই বাফার জোনগুলিতেও ভারতীয়রা যেতে পারছেন না। চিন ধীরে ধীরে গ্রাস করছে ভারতের ভূখণ্ড। লাদাখের ওই পুলিস আধিকারিক নিজের রিপোর্টে এই প্রসঙ্গে সেনার এক আধিকারিকের বক্তব্যও প্রকাশ করেছেন। ওই সেনা আধিকারিক নাকি দাবি করেছেন, যদি ৪০০ মিটার জমি দিয়ে চিনা সেনাকে ৪ বছর শান্ত রাখা যায়, সেটা মোটেই লোকসানের চুক্তি নয়।

লাদাখের ওই পুলিস আধিকারিক নিজের রিপোর্ট পেশ করেছেন দিল্লিতে দেশের শীর্ষ পুলিশ আধিকারিকদের বার্ষিক সমাবেশে। সেখানে আবার উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালও (Ajit Doval)। সেনা সূত্রে অবশ্য এই রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। সেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভারত চিনের কাছে কোনও জমি হারায়নি। বরং কিছু কিছু এলাকায় আলোচনার মাধ্যমে দুই শিবিরই পেট্রোলিং আপাতত বন্ধ রেখেছে।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর