বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হতশ্রী পারফরম্যান্সের পর একটি ধারা শুরু হয়েছিল। রোহিত শর্মা যুগে টানা তিনটি টি টোয়েন্টি সিরিজে ৩-০ ফলে জয় পেয়েছিল ভারত। ঘরের মাটিতে ২০২১ এর শেষদিকে কিউয়িদের হারিয়ে সিরিজ জিতেছিল রোহিতরা। এরপর নতুন বছরে একে একে শ্রীলঙ্কা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে ভালোই ছুটছিল ভারতের টি টোয়েন্টির বিজয়রথ। কিন্তু আইপিএলের ধকলের পর দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে বিশ্রামে গেলেন রোহিত, কোহলি, বুমরা সহ একাধিক তারকা। চোট পেয়ে ছিটকে গেলেন লোকেশ রাহুল। ফলস্বরূপ নয়াদিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার মিডল অর্ডারের কাছে ভারতীয় বোলারদের অসহায় আত্মসমর্পণ। ম্যাচ জিতে টানা ১৩ টি টোয়েন্টি জয়ের রেকর্ড হাতছাড়া করলেন পন্থরা।
অথচ ব্যাটারদের দিক থেকে চেষ্টার ত্রুটি খুব একটা ছিল না। রাহুলের অনুপস্থিতিতে শুরুটা দুর্দান্তই করেছিলেন ঋতুরাজ এবং ঈশান কিষান। গায়কোয়াড (২৩) প্রোটিয়াদের বুড়ো ঘোড়া পার্নেলের শিকার হয়ে ফিরলেও থামেননি ঈশান। শ্রেয়স আইয়ারের (৩৬) সাথে মিলে ইনিংসকে ভালোই টানছিলেন তিনি। তিনি ১১টি চার ও ৩টি ছক্কা সহযোগে ৭৬ রান করে আউট হওয়ার পর অধিনায়ক এবং সহ অধিনায়ক পারফেক্ট ফিনিশিং টাচটাও দিয়ে গিয়েছিলেন। পন্থের ১৬ বলে ২৯ এবং হার্দিকের ১২ বলে ২টি চার ও ৩টি ছক্কা সম্বলিত ৩১ রান ভারতকে পৌঁছে দিয়েছিল ২১১ রানের দুর্দান্ত স্কোরে।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু পাওয়ার প্লে-এর ভেতরেই তারা দুটো উইকেট হারিয়ে ফেলে। নয় ওভারের মধ্যে ৩ উইকেট তুলে নেওয়ার পরেও লাগাম পড়ানো যায়নি প্রোটিয়াদের। টপ অর্ডারে ডি কক (২২), অধিনায়ক বাভুমা (১০), প্রিটোরিয়াস (২৯) সেট হয়েও বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন। কিন্তু কাজের কাজটা করে যায় মিলার ও ভ্যান ডার ডুসেনের জুটি।
৭টি চার ও ৫টি ছক্কা সহযোগে ৪৬ বলে ৭৫ রান করেন ডুসেন। সদ্য গুজরাটকে আইপিএল জেতানো ডেভিড মিলার আজও সপ্রভিত। ৩১ বলে ৬৪ রানের মারাত্মক ইনিংস যাবতীয় আশা শেষ করে দেয় ভারতের। ৫ বল বাকি থাকতেই শেষ হয়ে যায় ম্যাচ। গোটা ম্যাচে পরিকল্পনাহীন বোলিংয়ের কারণে ম্যাচ হারতে হয় পন্থের দলকে। আইপিএল কাঁপানো প্রতিটি বোলারের ব্যর্থতা আবারও প্রমাণ করলো বুমরা ও শামির অপরিহার্যতা। আজ জিতলে আফগানিস্তানের ২০১৮ থেকে ২০১৯ অবধি টানা ১২ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড ভেঙে যেত। কিন্তু সেই রেকর্ড অধরাই থেকে গেল।