বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: চলতি ইন্টারন্যাশনাল ব্রেকে যেন শুধুমাত্র হতাশায় সঙ্গী হলো ভারতীয় ফুটবলপ্রেমীদের। এই সময়টুকুতে সিঙ্গাপুর এবং ভিয়েতনামের বিরুদ্ধে দুটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভারতীয় ফুটবল দলের কোচ ঈগর স্টিম্যাচ। দুটি ম্যাচে রে একটিতেও জয় পেল না সুনীল ছেত্রীরা। সিঙ্গাপুরের মতন দুর্বল দলের বিরুদ্ধে পিছিয়ে পড়েও কোনক্রমে হার বাঁচিয়েছিলেন আশিক কুরুনিয়ানরা। কিন্তু ভিয়েতনামের বিরুদ্ধে লজ্জার হারই সঙ্গী হলো তাদের।
ভিয়েতনামকে সিঙ্গাপুরের তুলনায় অনেক কঠিন প্রতিপক্ষ সেকথা ভালোই জানতেন ভারতীয় কোচ। ম্যাচের আগে জানিয়েছিলেন যে তারা সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কিন্তু মাঠে যে ফুটবলটা খেললো ভারতীয় দল তা দেখে চিন্তা বাড়বে যে কোন ভারতীয় সমর্থকের। নড়বড়ে রক্ষণ ভেদশক্তি হীন আক্রমণ এবং উদ্ভাবনী শক্তি হীন মাঝমাঠ, সবকিছুর ফলস্বরুপ ভিয়েতনাম তিনবার ভারতের জালে বল জড়ান এবং ভারত একটি গোল করতে ব্যর্থ হলো।
অথচ ১২ বছর আগে এই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেই হ্যাটট্রিক করেছিলেন ভারত অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। ভারত ও বেশ সহজেই জয় পেয়েছিল সেই ম্যাচে কিন্তু তার এক যুগ পরে যে ভিয়েতনাম দলের বিরুদ্ধে খেলল তারা যেন অনেক পরিণত এবং এই সময়ের মধ্যে ভারতকে অনেক পেছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে। ভারতীয় ফুটবলার রা নিজেদের ভাগ্যবান মনে করতে পারেন এই কারণে যে স্কোরলাইন আরো লজ্জাজনক হয়ে দাঁড়ায়নি।
খেলা শুরুর ১০ মিনিটের মধ্যে ভিয়েতনামের ফ্যান ভ্যান ডাইক, গুরপ্রীত সিং সান্ধুর ভুলের সুযোগ নিয়ে ভিয়েতনামকে এগিয়ে দেন। প্রথমার্ধে আর গোল না হলেও ৪৯ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান ভ্যান টুয়ান। একটিমাত্র নিখোঁজ ক্রপ গোটা ভারতীয় রক্ষণকে ফাঁকি দিয়ে পৌঁছে যায় টুয়ানের কাছে। গোল করতে ভুল করেননি তিনি। ৭০ মিনিটে ফের ধাক্কা। ডানদিক থেকে ভেসে আসা ক্রস ক্লিয়ার করতে পারলেন না ভারতীয় ডিফেন্ডাররা। ফলস্বরূপ ভ্যান কুয়েত তৃতীয় গোলটি করে ভারতের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন।
এমন হতশ্রী পারফরম্যান্সের পর খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি আদেও আগামী বছরের এশিয়ান কাপ এর জন্য প্রস্তুত রয়েছে ভারতীয় দল? উত্তরটা কি সেটা হয়তো সকলেরই জানা। খুব ভুল না হলে হয়তো গত বছরই আরও একজন নতুন ফুটবল কোচ পেতে চলেছে ভারতীয় ফুটবল। কিন্তু তাতেও যে ভারতের উন্নতি হবে এমনটা আশা করতে ভয় পাচ্ছেন ফুটবলপ্রেমীরা।