বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লিডসের পর ওভালেও সেভাবে গল্পটা বদলায়নি। একইভাবে আজও প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ইংরেজ পেস ব্যাটারির সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিল ভারতীয় দল। একদিকে যেমন ওকস এবং রবিনসন মিলে বড় আঘাত দেন ভারতীয় ওপেনিং জুটিকে, তেমনি অন্যদিকে পুজারাকে তুলে নিয়ে টপ অর্ডারের কোমর ভেঙে দেন অ্যান্ডারসন। কঠিন পিছে একমাত্র কার্যকরী ভূমিকা আজ দেখা গেল অধিনায়ক কোহলিকে। গোটা মাঠ জুড়েই তিনি ছিলেন বেশ স্বচ্ছন্দ্য। কিন্তু এদিন তাকে সাহায্য করতে পারেননি পাঁচ নম্বরে আসা রবীন্দ্র জাদেজা।
লঞ্চের ঠিক পরে পরেই ওকসের শিকারে পরিণত হন তিনি। সহ-অধিনায়ক রাহানেকে সাথে নিয়ে কোহলি এদিন ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু গত ম্যাচের মতোই ফের একবার অর্ধশত রান করার পরেই ঘটলো ধৈর্যচ্যুতি। ৮ টি বাউন্ডারি দিয়ে সাজানো ৫০ রান করেই প্যাভিলিয়নে ফিরলেন কোহলি। আজ ফের একবার ব্যর্থ হন রাহানে এবং পান্থও। একদিকে যেমন ৯ রান করে ওকসের শিকার হন পান্থ তেমনি অন্যদিকে ব্যক্তিগত ১৪ রানের ওভারটনের হাতে উইকেট তুলে দেন রাহানে।
এই অবস্থায় যখন মনে হচ্ছিল ১৫০ রানও পার করতে পারবেনা টিম ইন্ডিয়া, তখনি ফের একবার প্রতিরোধ গড়ে তোলেন শার্দুল ঠাকুর, কার্যত টি-টোয়েন্টি স্টাইলে মাত্র ৩৬ বলে সাতটি চার এবং তিনটি ছয়ের সাহায্য ৫৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস উপহার দেন তিনি। তাকে দেখে মনে হচ্ছিল না এই পিচে ব্যাটিং করা এতটা কঠিন। কার্যত তার দৌলতেই শেষ পর্যন্ত 191 রানে ইনিংস শেষ করে ভারত। ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট তুলে নেন ওকস। তিনটি উইকেট নেন রবিনসন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে অবশ্য ভালো হয়নি ইংল্যান্ডের শুরুটাও। জাসপ্রিত বুমরার আগুনে বোলিংয়ে মাত্র ৬ রানের মধ্যে বার্ন্স এবং হামিদকে হারায় ব্রিটিশবাহিনী। ফের একবার পতন রুখে দেন রুট এবং মালান। কার্যত গত ম্যাচের দুর্দান্ত ফর্ম আজও ধারাবাহিকভাবে ধরে রেখেছিলেন এই দুই ব্যাটসম্যান। কিন্তু দিন শেষের ঠিক আগে খেলা ফের একবার বদলে দেন উমেশ যাদব। ২১ রানে জো রুটকে বোল্ড করে কার্যত ম্যাচে নতুন করে প্রাণ সঞ্চার করেন তিনি। দিনশেষে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৫৩ রান। একপ্রান্তে ২৬ রানে অপরাজিত রয়েছেন ডেভিড মালান, অন্যপ্রান্তে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে তার সঙ্গ দিচ্ছেন ওভারটন।